শিরোনাম
গোয়ালন্দে অরিয়েন্ট জুটমিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রাজবাড়ী-২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন দাবিতে আমরণ অনশন গোয়ালন্দে জামায়াতে ইসলামী’র রুকন ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত গোয়ালন্দে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা গোয়ালন্দে বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যু গোয়ালন্দে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর সরকারি বাসভবনে চুরি গোয়ালন্দে নবাগত ইউএনও সাথী দাসের সঙ্গে প্রেসক্লাবের মতবিনিময় সভা গোয়ালন্দে কেনা জমি ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় মমিন খা গোয়ালন্দে নবাগত ইউএনও হিসেবে যোগ দিলেন সাথী দাস

গোয়ালন্দে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর স্বামীর সংসারে ফিরতে নারাজ শিক্ষিকা

স্টাফ রিপোর্টার / ১৬৩৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

0Shares

স্টাফ রিপোর্টার”

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর স্বামীর সংসারে ফিরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। ওই শিক্ষিকার নাম নাসরিন আক্তার রিনা (৩৫)। তিনি উজানচর ইউনিয়নের মৃত আব্দুল বাতেন চান মিয়ার মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে উপজেলার একই ইউনিয়নের মো. ছিদ্দিক ফকিরের বড় ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম-এর সঙ্গে নাসরিন আক্তার রিনার বিয়ে হয়। পরের বছর তাদের এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়, নাম সাবিহা আক্তার।

বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রিনা সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। চাকরির বিষয়ে উভয় পরিবার অর্থিক সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী ছেলে পক্ষ থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। তবে চাকরি পাওয়ার পর থেকে রিনার আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয় বলে দাবি করেছে স্বামীর পরিবার।

পরিবারের অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পর রিনা স্বামীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন এবং আচরণে অস্থিরতা দেখা দেয়। গত বছরের নভেম্বর মাসে বাপের বাড়ি গেলে তিনি আর স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেননি। একাধিকবার ডাকা হলেও তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আর সংসার করবেন না। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিশ ও পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, এ বছর ১ আগস্ট সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নাসরিন আক্তার তার ভাই ও খালাতো ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে গিয়ে আলমারি, খাট, সোকেসসহ বেশ কিছু মালামাল নিয়ে যান। ওই সময় আলমারির ভেতরে রাখা একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি চেইন, একটি চুড়ি (মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা) ও নগদ দশ হাজার টাকাসহ জাতীয় পরিচয়পত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিখোঁজ হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনার পর সিরাজুল ইসলামের পিতা মো. ছিদ্দিক ফকির গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে নাসরিন আক্তার রিনার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg