স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের ব্যস্ততম ফেরি ঘাটের মধ্যে একটি রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়া ঘাট ও মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ঘাট। সোমবার সকাল থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।
নদী পাড়ি দিতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা ঢাকামুখী এসব গাড়িকে ফেরিতে উঠতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা করে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঘাট–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ২০টি ফেরির স্থলে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩টি ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রায় দেড় মাস ধরে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সব রুটের অধিকাংশ গাড়ি এ ঘাট ব্যবহার করছে। যে কারণে দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া উভয় ঘাটে যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার জিরো পয়েন্ট (৩ নং ফেরি ঘাট) থেকে গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক দূরপাল্লার যাত্রীবাহি বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি পরেছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের চাপ আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে থাকা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের এক যাত্রী মনির হোসেন বলেন, সকাল ১০টায় যশোর থেকে রওনা হন ঢাকার উদ্দেশ্যে । কিন্তু প্রায় ২ ঘন্টা হয়ে গেলেও এখনো ফেরি ঘাটে যেতে পারেনি। আরো কত দেরি হতে পারে তিনি যানেন না। স্ত্রী সন্তান নিয়ে নেমে লঞ্চে পার হবেন তাও পারছেন না।
এ সময় কথা হয় ভারত থেকে মার্বেল পাথর বোঝাই করে ঢাকার উদ্যেশ্য রওনা করা ট্রাক চালক আরিফুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, শুনেছিলাম রোববারের মত সোমবারও ঘাট ফাকা থাকবে।কিন্তু ভোর ৪টার সময় এসে দেখি বিশাল সিরিয়াল। তিনি ৮ ঘন্টায় সিরিয়ালে থেকে বেলা ১২ টার সময় টোল কমপ্লেক্স পর্যন্ত আসতে সক্ষম হয়েছে।বিকেলের ভিতর পার হতে পারবেন কিনা তাও জানেন না তিনি।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশের সার্জেন্ট আরিফুল হক বলেন, রোববারেও এই যানযট ছিল না। সোমবার রোডস এন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ মহাসড়কের সংস্কার কাজ করায় এই দীর্ঘ যানযট হবার কারন বলে তিনি মনে করছেন। তিনি আরো বলেন অন্যান্য দিনের চেয়ে সোমবার গাড়ি বেশি আসছে। এবং সেই সাথে ২০ টি ফেরির জায়গায় ১৭ টি ফেরি চলাচল করায় ঘাট এলাকায় এই যানযট তৈরি হওয়ার অন্যতম কারন বলে তিনি মনে করছেন।