গোয়ালন্দে সেতু নির্মাণে ধীরগতি, এখনও নৌকাতেই ভরসা এলাকাবাসীর –

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

0Shares

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখানপাড়া মান্নান গাছির খেয়াঘাটে ধীরগতিতে চলছে সেতুর নির্মাণকাজ। গত দুই বছরে কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসীকে পারাপারের জন্য নৌকার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।

গোয়ালন্দ-ফরিদপুর-তাড়াইল সড়কের উত্তরে অবস্থিত খেয়াঘাটের দুই পাশে একাধিক বাজার ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব অঞ্চলের মানুষ দ্রুত ও স্বল্প সময়ে ফরিদপুরে যাতায়াতের জন্য ঘাট ব্যবহার করে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দের উজানচর ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম মান্নান গাছির খেয়াঘাট। ২টি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সেখানে একটি সেতু নির্মাণের।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৭ মে ওই খেয়াঘাটে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরিশালের মেসার্স রুপালী কনস্ট্রাকশন-মাম (জেভি) কাজটি পায়। চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হয়ে ৩০০ দিনের মধ্যে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কয়েক দফা সময় বাড়ায়। নতুন করে বর্ধিত সময় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু কাজের ধীরগতির কারনে এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

উজানচর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চুন্নু মীর মালত বলেন, দুটি ইউনিয়নের তিন–চার হাজার মানুষ প্রতিদিন ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। এ ঘাটের ওপর অন্তত ২০ হাজার মানুষ নির্ভর করে। হাটবাজারে কৃষকেরা কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থীদেরও চলাচল করতে হয়। ফরিদপুরে রোগী নেওয়ার জন্য এ অঞ্চলের মানুষকে এ খাল পার হতে হয়। সেতু নির্মাণের ধীরগতির কারণে তাঁদের ভোগান্তি কমছে না। সেতুর পিলারের কাজ শেষ হলেও উপরের স্ল্যাবের কাজ করা হচ্ছেনা।

উজানচর ইউনিয়নের মইজদ্দিন মোল্লা পাড়ার জাকির হোসেন বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে দেখে আসছি এ খাল দিয়ে মানুষকে নৌকায় পারাপার হতে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন এ খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সেতুর পিলার উঠানো ছাড়া এখন পর্যন্ত কাজের তেমন অগ্রগতি দেখছি না। আমাদের এখনও নৌকার ওপরেই ভরসা করতে হচ্ছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ইতিমধ্যে সেতু নির্মাণের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষাকালে খালে পানি থাকায় আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। এখন শুধু স্ল্যাবের কাজ বাকি আছে। আশা রাখি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে।’

উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে সর্বশেষ গত ২৩ আগস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গার্ডার, ডেক স্ল্যাব ঢালাইসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও কাজের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ঠিকাদারকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg