স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পাড়ি দিতে আসা ঢাকাগামী পণ্যবাহী গাড়ির সকালে চাপ না থাকলেও বিকেলে চাপ পড়েছে।সকালে ঘাট ফাকা পরে থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দুপুরের পর থেকে পণ্যবাহী গাড়ির চাপ পড়তে থাকে।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল ছাড়িয়ে ৩ কিলোমিটার লম্বা লাইনে শুধু পণ্যবাহী গাড়ি। এরমধ্যে বেশিরভাগ ট্রাক, কার্ভারভ্যান, পিকআপ গাড়ি রয়েছে।
দূরপাল্লার পরিবহন, কাঁচা পণ্যের গাড়িসহ অন্যান্য জরুরি গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে ফেরিতে ওঠায় সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ি ফেরিতে উঠতে সময় লাগছে বেশি।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এসব পণ্যবাহী গাড়ি ফেরিতে ওঠতে সময় লাগছে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। ফেরি ঘাটের কাছে সংযোগ সড়কে পণ্যবাহী গাড়ির সাথে দূর পাল্লার যাত্রীবাহি বাস ও বেশ কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি থাকতে দেখা যায়।
সাতক্ষীরা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক মমিন ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধর্মঘট থাকায় আসতে পারিনি।আজ সোমবার ভোররাতে রওয়ানা দেই। দুপুরের দিকে ঘাটে এসে ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে লম্বা লাইনে আটকে আছি। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর তেল পাম্পের কাছে পৌছেছি। ফেরিতে উঠতে আরো হয়তো ১-২ ঘন্টা লাগতে পারে। এভাবে লাইনে বসে থাকতে থাকতে আমরা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মার পানি দ্রুত কমতে থাকায় স্রোত অনেকটা কমে গেছে। আগের থেকে বর্তমানে ফেরি চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া ফেরি সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ফলে এক সপ্তাহের বেশি দিন ধরে সকালের দিকে ঘাট অনেকটা ফাঁকা থাকছে। তবে দুপুর থেকে গাড়ির চাপ বাড়ছে। সাধারণত প্রতিদিন সকালে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দূরপাল্লার পরিবহনগুলো দুপুরের দিকে ঘাটে এসে পৌছে। একই সাথে প্রতিদিনের গাড়ি তো রয়েছে। ফলে দুপুরে সব মিলে যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, বর্তমানে ফেরি সংখ্যা ২০ টি থাকলেও দুই ঘাটের গাড়ি এক ঘাট দিয়ে পার হওয়ায় চাপ একটু বেশি পড়ছে। সেই সাথে গত কয়েকদিন ধর্মঘট থাকায় পণ্যবাহী গাড়ির চাপ তেমন ছিলনা বললেই চলে। ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর পুনরায় ঢাকাগামী ওইসব গাড়ি নদী পাড়ি দিতে দৌলতদিয়া আসায় বাড়তি চাপ দেখা দিচ্ছে।