স্টাফ রিপোর্টারঃ
হিন্দু সম্প্রদায়ের বারো মাসে তেরো পার্বণ এ কথাই প্রচলিত আমাদের সমাজে মাঠে-ঘাটে কাশফুল শরতের নীল আকাশ স্নিগ্ধ সকাল পাড়ায় গ্রামে ও মহল্লায় পূজার প্যান্ডেল নতুন পোশাক আত্মার আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ আত্মীয় বন্ধুর বাড়ি এবং মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা দর্শনের মজাই আলাদা এই তো আর মাত্র কয়েকটি দিন।
আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। পুরাণ অনুযায়ী দুর্গা শব্দের অর্থ অপ্রতিরোধ্য অর্থাৎ তাকে কেউ পরাজিত করতে পারে না। এবারে এই মহামায়া দশভূজা দেবী দুর্গার আগমন ঘোটকে গমন দোলায় চড়ে।
রাজবাড়ীর পাংশায় প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রতিমা। নিখুত ভাবে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এখন চলছে মাটির কাজ। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য মতে পাংশায় ৯৮ টি পূজা মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে।
উপজেলায় সরেজমিন ঘুরে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। প্রতিমা শিল্পীদের অতি ভালোবাসায় ও নিপুণ আঁচড়ে তৈরি হচ্ছে একেকটি প্রতিমা।
এবার পাংশা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির ও ভাই ভাই সংঘ পূজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করছেন রমেশ চন্দ্র পাল। তিনি বলেন, এ বছর ৫টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। একটা প্রতিমা তৈরির জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন।
একটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগে। তবে একবারে একটি প্রতিমা তৈরি করা যায় না। কাদামাটি শুখালে রঙের কাজ করতে হয়। সারা বছর এই সময়টির জন্য অপেক্ষায় থাকি। বছরের অন্য সময় তেমন কোন কাজ হয় না। এই সময় এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
পাংশা ভাই ভাই সংঘ পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও এ উৎসবটি জাঁকজমক ভাবে উদযাপন করা হবে। তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে উৎসবের পরিধি ছোট করতে হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পাংশা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দিপক কুমার কুন্ডু বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গতবারের মতো এবারেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের দেয়া নির্দেশনা মেনেই পূজা উদযাপন করা হবে।
পাংশা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, দেবী বিসর্জন পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবী দলসহ সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপের জন্য টহল পুলিশ এবং পূজামণ্ডপগুলোর জন্য মোবাইল টিম থাকবে।