ভাঙ্গন রোধে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ – দরকার নেই বললেন এলাকাবাসী –

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৩৬৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১

0Shares

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৪নং ফেরিঘাট এলাকায় সোমবার সকাল থেকে ভাঙন শুরু হয়। এতে মসজিদসহ নদী গর্ভে চলে যায় ৫টি পরিবারের বসতভিটা।
ভাঙ্গন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয় আরো অন্তত ২০ টি পরিবার। হুমকিতে রয়েছে ২ শতাধিক পরিবারসহ বহু স্হাপনা।

এদিকে ভাঙ্গন রোধে সোমবার থেকেই বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত ভাঙ্গন স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে ডাম্পিং করছে।তবে এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আজকের এই ভাঙ্গনের পিছনে দায়ী বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। আমাদের এখানে ভাঙতে পারে এই কথাটি বি.আই.ডব্লিউ.টি.এ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আগেই জানানো হয়েছিল।কিন্তু তারা তখন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।এখন এখানে ভাঙ্গতে শুরু করেছে আর তারা এসেছে জোরাতালি দিতে।এখন আমাদের বসতভিটা নদীতে চলে গেল। আমরা এখন সর্বহারা হয়ে গেলাম। তারা কি পারবে তাদের সব ফিরিয়ে দিতে?

স্হানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ হোসেন বলেন, ভাঙনে সিদ্দিক কাজীর পাড়ার ৫ টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তারা তাদের ঘরবাড়ি গুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়।তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানান।

মঙ্গলবার (৩১ আগষ্ট) সকাল ১০ টার দিকে ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করতে আসেন বি .আই.ডব্লিউ.টি.এর প্রধান প্রকৌশলী মো. মুহিদুল ইসলাম।

মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে একটি চ্যানেল ছিল যেটি ভেঙ্গে গিয়েছে। মুলত সেটি ভাঙ্গার কারনেই এখন ঘাটগুলো সামনে চলে এসেছে। কোথায় ভাঙ্গবে তা আগে থেকে জানা কষ্টকর। পানির নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারনেই ভাঙ্গন শুরু হয়। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকি এবং ভাঙ্গার সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহন করি।

তিনি আরো বলেন, এই ফেরি ঘাটের এরিয়া প্রায় আড়াই কি.মি.। এখানে কাজ করতে হলে যে অর্থের প্রয়োজন হয় সেখানেও আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। ঘাটটাকে স্থায়ী করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রোজেক্ট পাস হয়েছে।খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg