মহামারী করোনায় বন্ধ স্কুল, স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা। ইউনিসেফ বলছে সারা বিশ্বে প্রায় এক কোটি শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়বে। বাংলাদেশে প্রাইমারি ও মাধ্যমিক এ শিক্ষার্থীদের ৩০ শতাংশ ঝরে পড়ার আশংকা রয়েছে, বলছে গবেষণা সংস্থা সানেম।
এই করোনাকালে শিক্ষার্থী যাতে ঝরে না পড়ে এজন্য অনন্য উদ্যােগ নিয়েছেন গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়ার অজপাড়াগাঁয়ে বেড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র রাজু আহমেদ। নিজ বাড়িতে শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিনা পয়সায় পড়াচ্ছেন, তাদের আলোকিত করতে একাডেমিক পড়ার পাশাপাশি দৌলতদিয়া চরের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়তে দেন জাতীয় ইংরেজি দৈনিক, আয়োজন করেন মেধা প্রতিযোগিতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ থাকার কারণে অন্যান্যরা যখন অযথা সময় পার করছে, তখন সকাল বিকেলে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি শিখার পাঠশালা করেছেন। এতে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনেক উপকার হচ্ছে।
কেন এমন উদ্যোগ জানতে চাইলে রাজু আহমেদ বলেন, গত দেড়বছর ধরে স্কুল বন্ধ, পঠনপাঠন একপ্রকার বন্ধই বলা চলে। কারন অনলাইনে ক্লাস করার মতো পরিকাঠামো সকলের নেই। তাই বলে শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে থাকবে, তা তো হয় না। তাই যতটা সম্ভব ওদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
বলে রাখা ভালো, চরের মাস্টার শিরোনামটা ধার করেছি ‘ চরের মাস্টার ‘ টেলিফিল্ম থেকে। যেখানে টেলিফিল্মটির গল্প এগিয়েছে এক স্বপ্নবাজ তরুণকে ঘিরে যে কিনা শহরের বিলাসী জীবন ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন অজপাড়াগাঁয়ে, যার উদ্দেশ্য গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া।
তাঁরই প্রতিচ্ছবি রাজু আহমেদ।
সমাজ বদলের নায়ক, গোয়ালন্দের আনসাং হিরো ও চরের মাস্টারের জন্য রইলো অহর্নিশ ভালোবাসা,নিরন্তর শুভকামনা।
লেখক, গাজী সাইফুল ইসলাম
সম্পাদক ও প্রকাশক
রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ