শিরোনাম

কোরবানির জন্য ২৯ হাজার পশু প্রস্তুত।

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ২৯৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১

0Shares

মোশারফ হোসেন কুমারখালী (কুষ্টিয়া)

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুমারখালী উপজেলায় প্রায় ২৯ হাজার গরু-ছাগল, মহিষ, প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় তালিকাভূক্ত ছোট-বড় মিলিয়ে কৃষক ও মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ ৩ হাজার ৮ শ’ ৮৭ খামারে এসব পশু পালন করা হচ্ছে। চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে হাট-বাজারের চেয়ে খামারে কেনাবেচাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।

জানা গেছে, প্রতিবছর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার কৃষক ও খামারিরা গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। কোরবানী ঈদে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে গবাদি পশু ঢাকার, চট্টগ্রাম সহ দেশজুড়ে বিক্রি করেন খামারিরা ও প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দূর-দুরান্ত থেকেও ক্রেতারা এ উপজেলায় এসে স্থানীয় হাট-বাজার ছাড়াও খামার থেকে গরু কিনে নিয়ে যান। গত বছর ভারত থেকে পশু কম আমদানি হওয়ায় দেশি গরুর চাহিদা ছিল ভাল। এ বছর কোরবানীকে সামনে রেখে দেশী গরু ও ছাগল মোটাতাজা করার শেষ পর্যায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে করোনা পরিস্থিতিতে দাম ও বিক্রি নিয়ে অনেকটাই শঙ্কিত খামারিরা। তারপরেও ভারতীয় গরু কিংবা প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ভাল দাম পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন খামারিরা।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৮ শ’ ৮৭ টি গো-খামার রয়েছে। এবার এসব খামারে মোটাতাজা করা হয়েছে ২৯ হাজারের অধিক গরু, ছাগল। ষাঁড় আছে ১০ হাজার ৬ শ’ ৯৩ টি, বলদ আছে ৫ হাজার ৫ শ’ ৪ টি, ছাগল আছে ৭ হাজার ৫৯ টি এবং ভেড়া আছে ২৬৩ টি,কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ উপজেলায় দেশী জাতের গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে ৯০ ভাগ। এ ছাড়া রেড চিটাগাং ক্যাটেল শাহিয়াল, ফ্রিজিয়ান ও জার্সি মিলিয়ে রয়েছে বাকি ১০ ভাগ।

এ ব্যাপারে কুমারখালী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, গরু মোটাতাজাকরণে সমৃদ্ধ উপজেলায় ৩০ ভাগ গরু গাবতলী, চট্টগ্রাম পশু হাটে বিক্রি হয়। করোনা বিপর্যয়ের কারণে কোরবানীযোগ্য পশু অনলাইন ভিত্তিক বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।করোনা ভাইরাসের কারণে কোরবানির পশু কিছুটা কম বিক্রি হতে পারে।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg