আগামীকাল ঈদুলআজহা। আর ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি দেয়া। কোরবানির পশু ক্রয় সহ অন্যান্য বাজার শেষে সকলেই মসলার বাজারের দিকে মন দিয়েছেন। সপ্তাহ ঘুরে কিছুটা স্থির রয়েছে, রাজবাড়ীর কাঁচাবাজার। বেশির ভাগ সবজির দাম নাগালের মধ্যে থাকায় স্বস্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ।
শুক্রবার রাজবাড়ী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, রসূন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আদা প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতো । মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা এবং বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কচুমুখী প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শশা প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, ঢ়েঁড়শ প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ফার্মের ডিম লাল প্রতিহালি ৩৪ টাকা, সাদা ডিম প্রতি হালি ৩২ টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকা, সোনালীর ডিম প্রতি হালি ৪০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫০ টাকা, কোয়েলের ডিম প্রতি হালি ৮ টাকা, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, সোনালী মুরগী প্রতিকেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মুরগী প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, খাশির মাংস প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা এবং গরুর মাংস ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
রাজবাড়ী বাজারে ঘুরে দেখা গেছে সবজি বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু মাছের দোকানে ও মাংসের দোকানে ভিড় অনেক বেশিই ছিল।
ক্রেতা সুমন ও রনি বলেন কাঁচা বাজার গত সপ্তাহের তুলনামূলক অনেক কম। গত সপ্তাহের চেয়ে মরিচের দাম কম। গত বছরেও ঈদুল আজহাতে মসলা জাতীয় জিনিসের দাম অনেক বেশি ছিল।কিন্তু এবার অনেকটাই কম।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী ইমন ও শহীদ বলেন গত বছরের তুলনায় এবার সব কিছুর দাম কম। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। চারদিকে বন্যা না হলে দাম আরো কমে আসতো।
মুদি দোকানদার সবুজ বলেন, আজ বাজারে ক্রেতা অনেক কমে গেছে। গতকালও কিছুটা ভিড় ছিল, সে তুলনায় আজ অনেক কম। নিত্যপণ্যের দাম তেমন বাড়েনি, আগে যা ছিল এখনও তাই আছে বলেও জানান তিনি।
সুজন বিষ্ণু।। রাজবাড়ী সদর