মোঃ সজল আলী মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ০২ জুন
মানিকগঞ্জে মিনি স্টেডিয়ামের রাস্তা করার দোহাই দিয়ে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই পৌরসভার গাছ বিক্রি করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সরকারি বিধি নিষেধ না মেনেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার দুধবাজার-হিজুলী সড়কের পাশের গাছগুলো পানির দরে বিক্রি করেছেন ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা। টেন্ডার ছাড়াই বৃহৎ আকারের ১৫টি কড়ই গাছ ৮০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা রতন। তিনি ইতোমধ্যেই গাছ কাটা শুরু করে দিলেও সেই গাছ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই মানিকগঞ্জ পৌরসভার। গাছগুলো না কেটেই স্টেডিয়ামের রাস্তা করার দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার সুশীল সমাজ ও পরিবেশবাদীরা।
জানা যায়, শহরের দুধ বাজার থেকে হিজুলি ডায়াবেটিস হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই ধারে প্রায় অর্ধশতাধিক বড় বড় কড়ই গাছ রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে প্রায় আশপাশের ২০ টি গ্রামের মানুষ মানিকগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে। মানিকগঞ্জ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের পাশেই নির্মিত হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম। আর সেই মিনি স্টেডিয়ামের নাম করেই কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই পৌরসভার মালিকানাধীন ১৫ টি বড় বড় কড়ই গাছ বিক্রি করে দিয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রতনকে টেন্ডার ছাড়াই গাছগুলো কেটে নেওয়ার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা। তবে পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, শহরের দুধ বাজার থেকে হিজুলি ডায়াবেটিস হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই ধারের এসব গাছের মালিক মানিকগঞ্জ পৌরসভা। পৌর মেয়রের কাছে মৌখিক অনুরোধ করেই গাছগুলোর বিক্রয়লব্ধ অর্থ নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
গাছের ক্রেতা রতন বলেন, আমি ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে মৌখিকভাবে ১৫ টি গাছ কিনেছি।
এ ব্যাপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা বলেন, মিনি স্টেডিয়ামের রাস্তা নির্মাণের জন্য পৌরসভায় আবেদন করেই গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। গাছ বিক্রয়ের টাকা মিনি স্টেডিয়ামের কাজেই ব্যবহার করা হবে।
তবে জেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার গাছ বিক্রয়ের বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি। আর টেন্ডার ছাড়া গাছ বিক্রয় করাটা ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ রমজান আলী বলেন, গাছগুলো বিক্রি করার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছেন। তারা বলেছে গাছ কেটে সেখান দিয়ে মিনি স্টেডিয়ামের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হবে এবং গাছ বিক্রির টাকা মিনি স্টেডিয়ামের কাজে ব্যবহার করা হবে।