শিরোনাম
আজ বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস জেলা কোর কমিটির সাথে ফরিদপুর সদর উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে এসে সাংবাদিকের উপর হামলা ও হত্যার চেষ্টা গোয়ালন্দে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান ইভটিজিংয়ের অভিযোগে সাংবাদিককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার শিক্ষক সংকটে গোয়ালন্দে দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২ কাল থেকে লাগাতার চলবে মাঠের খেলা: মমতাজ রাজবাড়ীতে খাদ্য সহায়তা ও ক্রাচ বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন এক কাপ চা

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রোগীদের

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ মে, ২০২১

0Shares

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছে ভর্তি থাকা রোগীরা।
জানা গেছে, নানা রোগে অসুস্থ্য ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবা পেতে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীদের। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিন্মমানের খাবার দেয়া, বিদ্যুৎ গেলে অন্ধকারে থাকা, রোগীদের সাথে দূর্ব্যবহার করা, প্রায় সব ঔষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম না পাওয়া। একাধিক ভুক্তভোগী জরুরী বিভাগে ডাক্তার না পাওয়ারও অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালের বাইরে চেম্বারে ব্যস্ত থাকে ডাক্তাররা।
সরেজমিনে বেলা সাড়ে ১২ টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও রোগীর স্বজনেরা জানায়, ডাক্তার এখন পর্যন্ত আসেনি বা রাউন্ড দেয়নি।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমিটির সভাপতি সাফিউল ইসলাম প্রধান আক্ষেপ করে বলেন, পেটে ব্যাথা নিয়ে গত দুইদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। এ সময়ে কোনো ডাক্তার আসেনি। এটা হাসপাতাল না গোয়াল ঘর বোঝা যাচ্ছে না। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
পেটে অপারেশন করা নিয়ে তিনদিন আগে ভর্তি রোগী ফারুকুজ্জামান বলেন, আমরা কী মানুষ না। আমরা কেন সুচিকিৎসা পাবনা। একজন মহিলা আসে, দূর থেকে দেখে চলে যায়। ডাক্তারের কোনো ভূমিকা নাই। সরকার হাসপাতাল দিছে গরীব মানুষের উপকারের জন্য। আমাদের একটাই দাবি ডাক্তার কেন নাই, চিকিৎসা কেন পাই না।
রোগী রেনু বেগম বলেন, ২১ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। শুধু ২ টা ট্যাবলেট দিয়েছে। ৩ দিন আগে ডাক্তার এসে ইনজেকশন দিতে বলেছে। বাইর থেকে কিনে আনার পর নার্স জানায় সিরিঞ্জ নাই। সিরিঞ্জ কিনে এনেও তিনদিন হল ইনজেকশন দেওয়া হয়নি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সামিরা হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি প্রতিদিন সকাল ১১ টায় রাউন্ড দেই। যে রোগী বলেছে চিকিৎসা হচ্ছে না তার বেড নম্বরসহ নিউজ করেন সমস্যা নাই আমরা দেখব।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কারও চিকিৎসাসেবা নিয়ে অভিযোগ থাকলে আমাদেরকে লিখিতভাবে জানালে তদন্ত করে দেখব। ডাক্তাররা ঠিক সময়ে রোগী দেখেন।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, হেলথ্ কমপ্লেক্স গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক রয়েছে, যথারীতি দায়িত্ব পালন করছে। সব ধরণের ঔষুধ হাসপাতালে আছে। বিরল কিছু ঔষুধ হয়ত বাইর থেকে কিনতে হতে পারে।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg