করোনার ভয় উপেক্ষা করে রাজবাড়ী সদর বিনোদপুরে শেষ সময় কোরবানির পশুর হাট জমতে শুরু করেছে। পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসায় হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে সবার মুখে মাক্স থাকলেও মানছে না সামাজিক দূরত্ব।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০জুলাই) রাজবাড়ী গরু হাটে গিয়ে দেখা যাই ক্রেতা-বিক্রতার ভিড়। কেউ দরদাম করছে কেউ পশু কিনে গাড়িতে তুলছে।
রাজবাড়ী হাটে গবাদি পশু কিনতে আসা সেলিম মন্ডল,নজরুল ও সামাদ শেখ বলেন, হাটে গরু-ছাগলের দাম বেশ কম হলেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ।
হাটে আসা মাহবুব আলী বলেন গত বছরের তুলনায় এবার গরু ছাগলের দাম অনেকটাই কম।সবার সাধ্যমতো রয়েছে। এ বছর বড় গরুর চাহিদা একটু কম। ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। তবে ছাগলের দাম কম ছিল অনেক।
বিক্রেতা মোতালেব বলেন, আজকের হাটের সবচেয়ে বড় গরু আমার। তিনি দুইটি গরু হাটে এনেছিলেন। তিনি তার কালো গরুর দাম চেয়েছিলের ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। ক্রেতারা গরুটির সর্বচ্চ দাম করেছিল ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তিনি বলেন ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হলে বিক্রয় করবো। তিনি বলেন হাটে গরু অনেক এসেছে কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা কম। এজন্য দাম নেই তেমন।
হাটের স্বেচ্ছাসেবক সাকিল আহমেদ সবুজ রাজবাড়ী টেলিগ্রাফকে বলেন, রাজবাড়ী জেলা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে গরু এসেছে। কুষ্টিয়া থেকেও এসেছে৷ আজ ১ হাজারের ও বেশি গরু এসেছে এখানে। তিনি বলেন গরুর স্থানে আমাদের ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। ছাগলের স্থানে ১৬ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে৷ আজ একটা ছাগল বিক্রয় হয়েছে ২৬ হাজার টাকা। এখানে আমাদের পাশাপাশি প্রশাসনের লোকও রয়েছে। এছাড়া রয়েছে পশু চিকিৎসক । দূর থেকে যারা এসেছেন তাদের থাকার এবং খাবারেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই হাট আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবে।
সুজন বিষ্ণু || রাজবাড়ী সদর