আলামিন হোসেন, পাংশা প্রতিনিধিঃ
চোখের সামনে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু পথযাত্রী মাকে দেখে মাকে বাঁচানোর করুণ আকুতি জানিয়েছে ৭ বছরের সন্তান ফাতিমা।
সন্তানের একমাত্র ছায়া ও পরম শান্তির স্থল মায়ের কোল, আর সেই মা যখন সন্তানকে পৃথিবীতে রেখে চিরবিদায় নিতে চলে, নিষ্পাপ শিশুর আহাজারিতে তখন কেপে উঠে পৃথিবী। ঠিক এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের সাহেব আলীর পরিবারে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা জায়, হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র সাহেব আলীর মেয়ে সুমাইয়া খাতুন দীর্ঘদিন যাবত দূরারোগ্য ব্যধি হৃদরোগে আক্রান্ত। সুমাইয়ার একই গ্রামের সবুর মন্ডলের সাথে বিবাহ হয় এবং ৭ বছরের একটা কন্যা সন্তান রয়েছে। সবুর মন্ডলের মাঠঘাটে কোন জায়গা জমি না থাকলেও ছোট্ট একটা দোকান আছে যা দিয়ে কষ্টেই কোন মত সংসার চলে যেতো। স্ত্রী সুমাইয়ার কঠিন রোগ হওয়ায় তার চিকিৎসা খরচ বহন করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে সবুর মন্ডলের। এদিকে সুমাইয়ার বাবাও হতদরিদ্র দিনমজুর দিন আনে দিন খায়। তার পক্ষেও মেয়েকে চিকিৎসা খরচ বহন করা কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।
পারিবারিক সূত্রে জানা জায়, সুমাইয়ার অনেক দিন আগে থেকেই হৃদরোগ হয়েছে, গত ২২ তারিখে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ডাক্তার দেখালে তিনি বলেন রোগীর হার্ট ছিদ্র হয়েছে এবং ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে অতিদ্রুত ভাল্ব টান্সফার ও অপারেশন করতে হবে। ভাল্ব টান্সফার ও অপারেশন করতে অনেক টাকা লাগবে যা এই হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই অসহায় পরিবারটি বিত্তবানদের নিকট সহযোগিতা কামনা করেছে। সহযোগিতা করতে চাইলে রোগীর যোগাযোগের নাম্বার
01764124753 (পার্সোনাল বিকাশ)