কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি ঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ভিক্ষুক আবুহার মল্লিক (৮০) হত্যা মামলার ৩৭ দিন পার হলো। কিন্তু এতদিনেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী। এতে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্খা প্রকাশ করেছেন বাদী।
সোমবার সকালে মামলার বাদী শিপন মল্লিক বলেন, জমি সংক্রান্ত জেরে আমার বৃদ্ধ দাদাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আসামীরা। থানায় মামলা করেছি, মামলা নং ২৪। কিন্তু ৩৭ দিনেও কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশের আচরণ আমাকে শঙ্খায় ফেলেছে। ন্যায় বিচার পাব কি -না বুঝতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার মূলহোতা ও প্রধান আসামী সোহেল প্রামাণিকের এলাকায় একটা গ্যাং আছে। তাদের অত্যাচারে অসহায় মানুষ অতিষ্ঠ। যখন তখন অসহায় মানুষদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। মামলার বাদী বলেন, টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিতে আসামীর লোকজন নিয়মিত চাপ দিচ্ছে আমাকে।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, মামলার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ্য যে, গত সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের মৃত ফকির মল্লিকের ভিক্ষুক বৃদ্ধ ছেলে আবুহার মল্লিক নিজঘর পাশে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করতেছিল। এসময় দরবেশপুর গ্রামের মৃত ডিলার সামছুদ্দিনের ছেলে সোহেল প্রামাণিক , মৃত আলিফার ছেলে কামাল প্রামাণিক, বাহাদুরের ছেলে রাসেল, আলতাফের ছেলে আলামিন সহ আরো ৪ থেকে ৫ জন জমির উপর এসে আবুহার মল্লিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পেটের উপর বসে কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং গলা চেপে ধরে গুরুতর আহত অবস্থায় রেখে দ্রুত চলে যায় তারা।
পরে স্বজনরা উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে গেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দেন এবং হাসপাতালে দুইদিন ভর্তির পর বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে আসতে না আসতেই তিনি মারা যান।
এরপর গত ১৭ এপ্রিল (শুক্রবার) হত্যার অভিযোগে সোহেল প্রামাণিককে প্রধান আসামী করে সাতজনের নামে থানায় মামলা করেন নিহতের নাতি ছেলে শিপন মল্লিক।