গোয়ালন্দের বইয়ের ফেরিওয়ালারা

সম্পাদকীয় | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৫০০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ মে, ২০২১

0Shares

পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারের রই ” সেই ঘোর থেকে পদ্মাপাড়ের মানুষকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে গোয়ালন্দে কয়েক স্বপ্নবাজ তরুণ।
দৌলতদিয়ার একদল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া সুজাত শেখ, ইমদাদুল হক মিলন,ইয়াছিন আরাফাত,বায়েজিদ আহমেদ নিরব,রুবেল,আরিফুল ইসলাম মুন্নু এরা মিলে ২০১২ সালে গড়ে তোলে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক প্লার্টফর্ম অনির্বাণ সমাজ কল্যাণ সংগঠন।

একজন পলান সরকার, একজন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রতিদিন প্রতিক্ষণে জন্মায় না তবে তাদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জন্ম নেয় আরো কিছু বইয়ের ফেরিওয়ালা, আলোর ফেরিওয়ালা, তেমনি কয়েকজন তরুণ হলো সুজাত
ইমদাদুল হক মিলন,ইয়াছিন আরাফাত,বায়েজিদ আহমেদ নিরব,রুবেল,আরিফুল ইসলাম মুন্নু।

কেন এমন উদ্যোগ জানতে চাইলে তারা বলেন, বই মানুষকে যুক্তিবুদ্ধি যোগায়, তাকে চিন্তাশীল করে, তার ভেতরের সম্ভাবনাগুলো জাগিয়ে তোলে।একটি সহনশীল ও মানবিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই।

মাধ্যমিক স্কুল, কলেজগুলোতে রয়েছে লাইব্রেরি, আলমারিতে সাজানো শত শত বই কিন্তু সেখানে দেখা যায় অযত্নে, অবহেলায় পড়ে রয়েছে বই, কোথাও মাকড়সার জাল, ধূলি ধূসর পরিবেশ। শিক্ষাথীরা সেগুলো পড়ার তো দূরের কথা, জানেও না বইয়ের খোঁজ।

ফলে তরুণ সমাজে জায়গা করে নিয়েছে ফেসবুক, পাবজির মতো ভয়ানক ব্যধি। সর্বগ্রাসী এই ভয়ানক ব্যধির বেড়াজাল থেকে তরুণ সমাজকে বেরিয়ে আনতে পাড়া, মহল্লায়, মুদিখানায়, তরুণদের আড্ডাখানায় পাঠাগার ও পাঠচক্রের এ উদ্যােগ।

সমাজ বদলের এই নায়কেরা হাসিমুখে পাঠকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন নতুন বই, ফেরত নিচ্ছেন পড়া শেষ করা পুরোনো টি। এতে নেই কোন জামানত, নেই কোন চাঁদা, হতে হয় না সদস্য।

পরিশেষে এইটুকু বলবো, অধিকাংশ মানুষ যখন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত,ঠিক সেই সময়ে কেউ কেউ সমাজে জন্মায় পরের তরে। আমি ওদের এই মহতী কাজের অগ্রযাত্রায় ক্ষুদ্র অংশীদার হতে পেরে ভালো লাগছে। ওদের সফলতা কামনা করি।
লেখক, গাজী সাইফুল ইসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশক, রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg