মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ১৯ মে
মানিকগঞ্জ পৌরসভার শহীদ রফিক সড়কের পাশে অন্যের দোকান নিজের দাবি করে ভাড়া দিয়ে অগ্রিম টাকা গ্রহণ করে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবক ও তার মা’র বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া আবু বক্কর টাকা ফেরত না পেয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার পশ্চিম দাশড়া এলাকার আবু বক্কর শহীদ রফিক সড়কের পাশে ইব্রাহিম ম্যানশনের ২টি দোকানের ভাড়া নিতে মালিকানা দাবিদার আলীফ সিদ্দীকের নিকট অগ্রিম বাবদ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও মাসিক ভাড়া বাবদ ১১ হাজার টাকার চুক্তি করেন। চুক্তি করার পর ভুক্তভোগী আবু বক্কর মাসিক ভাড়া বাবদ তিন মাস ১১ হাজার করিয়া টাকা প্রদান করেন। এরপর বিবাদীর বোন নাজমুন কোসেল ওরফে তন্দ্রা খান আসিয়া ২টি দোকানের মধ্যে একটির মালিকানা দাবি করিয়া অগ্রিম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও মাসিক ৬ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে নতুন করে চুক্তি করেন। এর প্রেক্ষিতে ভাড়াটিয়া আলীফ সিদ্দীকের নিকট একটি দোকানের অগ্রিম বাবদ প্রদানকৃত ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করিতে থাকে। একপর্যায়ে আলীফ সিদ্দীকের মা জ্যোতি খান ভাড়াকৃত দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এসময় প্রতারণামূলকভাবে গৃহিত অগ্রিম ২ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে।
ভুক্তভোগী আবু বক্কর বলেন, আলীফ সিদ্দীক আমার সাথে প্রতারণা করে দোকান ভাড়ার কথা বলে অগ্রিম বাবদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বেশি নিয়ে সেই টাকা ফেরত দিচ্ছেনা। আমি টাকা ফেরত চাইলে তার মা জ্যোতি খান আমাকে দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করছে।
অভিযুক্ত আলীফ সিদ্দকের মা জ্যোতি খান বলেন, দোকান ভাড়া বাবদ অগ্রিম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে কোন ঝামেলা নাই। সেই টাকার কাগজপত্র আবু বক্করের কাছে আছে। দোকান ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমি তাকে দোকান ছেড়ে দিতে বলেছি। ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বিষয়ে আমি এই মুহুর্তে কোন কথা বলতে পারবো না। সেটা নিয়ে পরে কথা বলবো।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত নারীর সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন।