জহুরুল ইসলাম হালিমঃ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৫নং ফেরিঘাটে ফেরিতে উঠতে গিয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে পল্টনের সব গুলো তার ছিড়ে পল্টুন সরে যাওয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালকের মরদেহ ৪৫ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ১৩ মে বৃহস্পতিবার পৌনে ৮টায় ঘাট থেকে প্রায় দের কিলোমিটার দুরে ১নং ছাত্তার মেম্বার পাড়া আদর্শ গ্রামের কাছাকাছি তাকে ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় জনতা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দল দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় সকাল ৮ টার দিকে মাইক্রোবাসের চালক মারুফ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে।
মাইক্রোবাস চালকের মরদেহ উদ্ধারের পর সনাক্ত করেন তার বড়ভাই মো. ফারুক হোসেন সহ স্বজনেরা।
নিহত চলক সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাজল ইউনিয়নের সুন্দরের চক গ্রামের মৃত মানিক হোসেনের ছেলে মো. মারুফ হোসেন।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক মারুফ হোসেন নিখোঁজ থাকায় আমরা পদ্মা নদীতে নজর রেখেছিলাম। আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়া আদর্শ গ্রামের স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দুটি ইউনিট যৌথভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করি। পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন এটি তার ভাইয়ের লাশ। তিনি বলেন উপজেলা প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করে মরদেহটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়াও এসময় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক খাঁন মামুন ও গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর এবং দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মুন্নাফ শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবারকে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ১১ মে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ৫নং পনল্টুনের তার বৈশাখী ঝড়ে ছিড়ে পন্টুন সরে যায় এ অবস্থায় পল্টুনের র্যামের উপর থাকা মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে ডুবে যায়।