রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৫নং ফেরিঘাটে ফেরিতে উঠতে গিয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে পল্টুনের সব গুলো তার ছিড়ে পল্টুন সরে যাওয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক মারুফ হোসেনকে (৪২) ৩৬ঘন্টা পার হলেও আজ ১২ মে বুধবার তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ ড্রাইভার সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাজল ইউনিয়নের সুন্দরের চক গ্রামের মৃত মানিক হোসেনের ছেলে মো. মারুফ হোসেন এবং উদ্ধারকৃত (ঢাকা মেট্রো ট-১৪-২৬০৮) গাড়ির মালিক ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা মাকসুদুর রহমান রিতু। সে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরীরত।
নিখোঁজ চালকের ভাই মো. শাহিন হোসেন বলেন, ১০ মে সোমবার আমার ভাই মাইক্রোবাসের মালিকের শ্যালককে গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় পৌছে দিয়ে ১১ মে মঙ্গলবার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে তার ঢাকায় পৌছানোর কথা ছিলো। গাড়িতে সে একাই ছিলো। গতকাল থেকে তার ফোন বন্ধ পাচ্ছি। এমন সময় গতকাল বিকেলে গাড়ির মালিক আমাকে ফোনের মাধ্যমে জানায় যে, গাড়িটি পদ্মায় ডুবে গেছে, ডুবে যাওয়ার পর গাড়িটি উদ্ধার করা গেলেও মারুফকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা রাতেই এখানে এসে পৌছাই। এখনো আমার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের কর্মকর্তারা এখানে উপস্থিত থাকলেও আমার ভাইকে উদ্ধারে তাদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। একথা বলে তিনিসহ তার স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা গাড়ি চালককে উদ্ধার করতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে রাজবাড়ীর ফায়ার সার্ভিসও সিভিল স্টেশনের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং পাটুরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডুবুরি দল বিআইডাব্লিউটিএ, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় গতকাল গাড়িটিকে উদ্ধার করি। কিন্তু নদীর সম্ভব্য সব স্থানে খুঁজেও চালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের উদ্ধার কাজ অব্যহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ১১ মে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ৫নং পল্টুনের তার বৈশাখী ঝড়ে ছিড়ে পল্টুন সরে যায় এ অবস্থায় পল্টুনের র্যামের উপর থাকা মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে ডুবে যায়।