মা দিবসে ফেসবুকে মায়ের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করে ধর্মীয় রোষানলে পড়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। প্রকাশিত ওই ছবিতে দেখা যায় ছবিতে তার মায়ের কপালে হিন্দুরীতি অনুসারে সিঁদুর লাগানো ছিল। আর তা দেখেই ওই ছবির কমেন্ট বক্সে অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করে।
কমেন্ট থেকে বোঝা যায়, অনেকেই এত দিন চঞ্চল চৌধুরীকে মুসলিম হিসেবে জেনে এসেছে।
অনেকে চঞ্চল চৌধুরীকে মৃত্যুর আগে মুসলমান হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে। মো. শামীম মুসাব্বির নামে একজন ছবির মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, “আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো আমি মুসলিম। আমি আপনাকে সাপোর্ট করতে পারি না। দোয়া ও শুভ কামনা রইলো, ইসলাম ধর্মকে ভালোভাবে বোঝেন ও জানেন। তারপর ইসলামকে সেরা ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেন। ”
নাইম ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, “আমি এত দিন আপনাকে মুসলমান ভেবে আসছি। কী একটা ছ্যাঁকা খেলাম। ” আল সাদি প্রিয়াল লিখেছেন, “এই ছবি না দেখলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভাবতাম আপনি মুসলিম। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করুন।
”এনতাজুল ইসলাম নামে একজন অন্য সব ধর্মকে অসত্য উল্লেখ করে লেখেন, “সকল মানুষ মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থা আর বাপ-দাদার বংশ সম্মান রক্ষা করতে গিয়ে যখন সে মূর্তিপূজা করে, তখন সে হিন্দু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইসলাম একমাত্র সত্য ধর্ম। বাকি সবগুলো এখন মিথ্যা, যার অস্তিত্ব বয়ে বেড়ানো বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। ”
এসব মন্তব্য চঞ্চলের চোখ এড়ায়নি। বরং তাদের এসব নেতিবাচক কথার উত্তর দিয়েছেন অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে। ধর্ম নয়, তাকে মানুষ হিসেবে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
চঞ্চল লিখেছেন, “ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ। আমি হিন্দু নাকি মুসলিম তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কী? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এ সকল রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সকল ক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই। ”
এ ছাড়া চঞ্চলের অনেক অনুরাগীও ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন। ধর্মের ঊর্ধ্বে গিয়ে অভিনেতা ও মানুষ হিসেবে তারা চঞ্চল চৌধুরীকে ভালোবাসেন বলে জানান।
সূত্রঃদেশ রূপান্তর