বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ,আমরা আমাদের দৈনন্দিন সকল কাজে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তি ছাড়া অসম্ভব বলে মনে হয়। তথ্যপ্রযুক্তির অনেকগুলো শাখা রয়েছে যেগুলো একটা স্বতন্ত্র, এবং তারা তাদের স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রেখে সেবা প্রদান করে। কেউ কারও উপর নির্ভরশীল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে সেবা নিশ্চিত করে গ্রহীতার। তথ্যপ্রযুক্তির এমন একটা শাখার নাম ইউটিব। ইউটিউব এমন একটা শাখা যে বিনোদন জগত থেকে শুরু করে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম সহ সবকিছু সঠিক তথ্য নিশ্চিত করে।দেশের নিউজগুলো ও ইউটিউব কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। তাই প্রযুক্তির এই সময়ে ইউটিউব কে কোন অংশে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। আজকে আমরা এমনই একজন ইউটিউবার এর কথা জানব যে কিনা বাংলাদেশের তরুণদের চোখ খুলে দিয়েছে। কিভাবে গ্রাম থেকে উঠে এসে আজকে সে সফল এমন একটা গল্প আজ আমরা শুনব, তাহলে শুরু করা যাক তার মুখ থেকে। প্রথমে আমার কাজের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি আমার বাবার কাছ থেকে। আমি যখন প্রথম ইউটিউব এ কাজ করার কথা বাবা তখন আমাকে অভয় প্রদান কর। বাবার এমন সহযোগিতার ফলশ্রুতিতে আজকে আমার এই অবস্থান। এরপর ২০১৭ সাল সালটা ছিলো আমার ইউটিউবে আসার প্রথম হাতে খড়ি। আমি ২০১৯ সালে মাত্র দুই বছরে আমি ইউটিউব থেকে টাকা পাই। ২০ হাজার টাকা, যেটা ছিল আমার অনেক বড় একটা পাওয়া। টাকা পাওয়ার পর কাজের প্রতি আমার আগ্রহ বহুগুণে বৃদ্ধি পায়, রাতদিন এক করে আমি আমার চ্যানেলে কাজ করা শুরু করে দেই। যার ফলশ্রুতিতে আজ আমার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে আমার টোটাল দুইটা মনিটাইজেশন চ্যানেল রয়েছে, যেখান থেকে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করি। আপনাদের কাছে বিষয়টা অবিশ্বাস্য বলে মনে হতে পারে কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে তরুণদেরকে একটা মেসেজ দিতে চাই তোমরা বাড়িতে বসে না থেকে গঠনমূলক কিছু করো। কারণ পৃথিবীতে কেউ জায়গা তৈরি করে দেয় না প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য নিজের জায়গা নিজে তৈরি করে নিতে হয়।
আবুল কালাম আজাদ
শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়