রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় যুগান্তরের গোয়ালন্দ প্রতিনিধি ও গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের আরেক সদস্য মেহেদুল হাসান আক্কাস সহ জনতার বিবেক নিউজ এর চেয়ারম্যান সুজন খন্দকারের বিরুদ্ধে।
দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ মঙ্গলবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে এ মামলার আসামি জনতার বিবেকের চেয়ারম্যান সুজন খন্দকার (৩০) গ্রেফতার করে। সে উপজেলার দৌলতদিয়া শাহাদাৎ মেম্বার পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলী খোন্দকারের ছেলে।সেইসাথে তিনি দৌলতদিয়া থেকে পরিচালিত ফেসবুক ও ইউটিউব নির্ভর “জনতার বিবেক টিভি’র ” চেয়ারম্যান ও নিজস্ব প্রতিনিধি।
এ মামলার অপর আসামি চ্যানেলটির প্রধান সম্পাদক মেহেদুল হাসান আক্কাছ (৫০)। তিনি গোয়ালন্দ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল ওলিমদ্দিন পাড়ার মৃত কচমদ আলী সরদার ওরফে কোমেদ আলী সরদারের ছেলে। তিনি গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নয়া দিগন্তের গোয়ালন্দ প্রতিনিধি।
মামলার এজাহারে প্রকাশ,গত ১৭/০৪/২০২১ তারিখ যুগান্তরে “গোয়ালন্দে শতাধিক নারীর কার্ড জব্দের অভিযোগ,খাদ্য সহায়তার নামে ইউপি চেয়ারম্যানের কারসাজি” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট দৈনিক যুগান্তরের তথ্যবহুল ওই সংবাদটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপকৌশল হিসেবে ১৯-৪-২০২১ তারিখ বিতর্কিত ওই ইউপি চেয়ারম্যানের উন্নয়নমুখী কর্মকান্ড প্রচারণার অজুহাতে একটি প্রতিবেদন ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার করে। প্রতিবেদনের একটি অংশজুড়ে তারা যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদটিকে মিথ্যা বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে। সেইসাথে প্রতিবেদনে যুগান্তর প্রতিনিধি শামীম শেখের ছবি বারবার প্রদর্শন ও উৎকোচ গ্রহনের মিথ্যা প্রচারনার মাধ্যমে তাকে সামাজিকভাবে অপমান,অপদস্থ ও হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালায়।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ মে সোমবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০১৮ সালের ২৫/২৯/৩১ ধারায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন অভিযোগ করেন গোয়ালন্দের যুগান্তরের সাংবাদিক তাঁর নিকট থেকে ৫০০০ টাকা খেয়েছেন, তিনি প্রেসক্লাব সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ধৃত আসামী সুজন খোন্দকারকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।