বইটির ওজন ১৪০০ কেজি। যার প্রতিটি পাতা উল্টাতে প্রয়োজন হয় ৬ জন লোক।
হাঙ্গেরির ছোট্ট গ্রাম সিনপেট্রি। মাত্র তিনশো লোকের বাস ওই গ্রামে। নির্ঝঞ্ঝাট অথচ ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামটি রাতারাতি গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে ভীষণ সুন্দর আর ইতিবাচক এক ঘটনায়। এই গ্রামেই রয়েছে হাতে বাঁধানো আকারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইটি।
৩৪৬ পৃষ্ঠার এই বইটির ওজন ১ হাজার ৪২০ কেজি। বইটি লম্বায় ৪.১৮ মিটার (প্রায় ১৪ ফুট) আর চওড়ায় ৩.৭৭ মিটার (প্রায় সাড়ে ১২ ফুট)। এর এক একটি পাতা উল্টাতে অন্তত ৬ জনের সাহায্য লাগে বলে প্রস্তুতকারকদের দাবি।
বেলা ভার্গা নামে ৭১ বছরের এক বৃদ্ধ ও তার ছেলে গ্যাবর ভার্গা মিলে বইটি তৈরি করেছেন। বিশাল এই বইটির ভেতরে রয়েছে ওই এলাকার বায়ুমণ্ডল, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গুহাগুলির কাঠামো ও অবস্থান, ভূখণ্ড সম্পর্কে অসংখ্য খুঁটিনাটি তথ্য। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলার জন্য বইটির একটি ছোট সংস্করণও তৈরি করেছেন বেলা। ছোট বইটির ওজনও প্রায় ১১ কেজি।
তিনি বলেন, “এই বইটি কেবল তার বিশ্বালত্বের জন্যই অদ্বিতীয় নয়, বরং এটি যে পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে তা অদ্বিতীয়। সুইডেন থেকে আনা কাঠের টেবিল ও আর্জেন্টিনা থেকে আনা ১৩টি গরুর চামড়া দিয়ে বইটি বানানো, যা দেখতে প্রাচীন আইনগ্রন্থের মতো।”
এই বইটিকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ভার্গাকে একটি বিশেষ উপহার দিয়েছেন।
ওই বিষয়ে তিনি বলেন, “ভূটানের মন্দির গুলোতে বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন বই পরিচ্ছন্ন করতে তিব্বতীয় গরুর লেজ ব্যবহার করা হয়। এটাতে ধূলোবালি বেশ সহজে পরিষ্কার হয়। আমার বই পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমিও এটি ব্যবহার করি।”
সোর্স: গুগল থেকে সংগৃহীত