কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিজের, পরিবারের ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ও মালামাল ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার বিকেলে থানা মোড় সংলগ্ন গড়াই কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করেন ব্যবসায়ী নুর আলম জিকু।
তিনি উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর বাজারের জিকু ইলেকট্রিনিক্স, জিকু ডেকোরেশন এন্ড সাউন্ড সিস্টেম ও ডিস সংযোগ ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ‘ আমি হাসিমপুর বাজারে ইলেকট্রিনিক্স, মোবাইল, ফ্রিজ, টেলিভিশন, রাইস কুকার এর শোরুম, ডেকোরেশনের ব্যবসা করি। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের দ্বন্দ্বে গত ১৯ এপিল দুপুর দেড়টায় আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশা ও লতিফ মেম্বরের নেতৃত্বে আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় মদো,বাদশা, ভুট্টো, হিরাসহ অনেকে। এতে আমার প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমি গত ২০ এপ্রিল থানায় মামলা দায়ের করলেও আমার মালামাল এখনও উদ্ধার করে নাই পুলিশ।’
তিনি আরো জানান যে,’ আসামীগণ জামিনে এসে আমার দোকান ও বাড়ির আশেপাশে দেশীয় অস্ত্র (ছোরা, হাঁসুয়া) ঘুরাঘুরি করছে। দোকান খুললে লুটপাট ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশাকে ফোন দেওয়া হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিব হোসেন বলেন, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে নিরাপত্তাহীনতার বিষয় পুলিশকে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত যে, গত ১৯ এপ্রিল সোমবার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ সম্পাদক ফারুক আজম হান্নান আহত হন। পরে সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খানের সমর্থকদের দোকান, শোরুম ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করে হান্নানের সমর্থকরা।