শিরোনাম
জেলা কোর কমিটির সাথে ফরিদপুর সদর উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে এসে সাংবাদিকের উপর হামলা ও হত্যার চেষ্টা গোয়ালন্দে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান ইভটিজিংয়ের অভিযোগে সাংবাদিককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার শিক্ষক সংকটে গোয়ালন্দে দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২ কাল থেকে লাগাতার চলবে মাঠের খেলা: মমতাজ রাজবাড়ীতে খাদ্য সহায়তা ও ক্রাচ বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন এক কাপ চা রাজবাড়ীতে ২১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-২

জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নিপীড়ন, ইনব‌ক্সে ত‌থ্যের ভি‌ত্তি‌তে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা

জহুরুল ইসলাম হালিম / ২৬২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

0Shares

ভদ্রমহিলা থাকেন বরিশালের বানারীপাড়ায়। বিয়ে করেন ইয়ার হোসেন নামে একই এলাকার এক ব্যক্তিকে। বিয়ের পর স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই, বাধ্য হয়ে তাকে ডিভোর্স করেন। দুষ্ট স্বামী তা মেনে নিতে পারছিল না। তাই, তাকে একদিন বরিশাল জেলখানার মোড় থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে তার হাত পা বেঁধে তাকে নিপীড়ন করে। তার নগ্ন ছবি ধারণ করে রাখে এবং তা দিয়ে তাকে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান। এক পর্যায়ে এই বিষয়টি জানিয়ে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ’ এর ইনবক্সে বার্তা প্রেরণ করেন।

মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তার বার্তাটি পেয়ে বরিশালের বানারীপাড়া থানার ওসিকে নির্দেশনা দেন এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সে সম্পর্কে অবগত করতে। তার প্রেক্ষিতে, ভদ্রমহিলার স্বামীকে থানায় ডাকা হয়। ভদ্রমহিলাকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়। ভদ্রমহিলার অভিযোগের বিপরীতে অভিযুক্তের বক্তব্য শোনা হয়। বক্তব্য সন্তোষজনক মনে হওয়ায় এবং অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ায় অভিযুক্তকে তাৎক্ষনিকভাবে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

এই বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সেই ভদ্রমহিলা বাংলাদেশ পুলিশকে লিখেছেন,‘আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের জন্য আমি সঠিক বিচার পেয়েছি। আপনাদের ঋন শোধ করার মত আমার তৌফিক নেই, কিন্তু ইনশাল্লাহ আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন আপনাদের জন্য নামাজে বসে দোয়া করে যাবো। আমার পিতা ও বড় ভাই না থাকার কারণে আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে মুখ বেঁধে ইচ্ছামত মারধর করেছে। আমি এখনো রাতে ঘুমাতে পারি না তার সে মাইরের ভয়ে। ইনশাল্লাহ, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আপনাদের জন্য দোয়া করে যাবো। মহান আল্লাহ যেনো আপনাদেরকে আমাদের মত অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেন।’

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg