শিরোনাম
জেলা কোর কমিটির সাথে ফরিদপুর সদর উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে এসে সাংবাদিকের উপর হামলা ও হত্যার চেষ্টা গোয়ালন্দে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান ইভটিজিংয়ের অভিযোগে সাংবাদিককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার শিক্ষক সংকটে গোয়ালন্দে দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২ কাল থেকে লাগাতার চলবে মাঠের খেলা: মমতাজ রাজবাড়ীতে খাদ্য সহায়তা ও ক্রাচ বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন এক কাপ চা রাজবাড়ীতে ২১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-২

লকডাউনে শ্রমজীবি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দুর্দশা এখন চরমে।

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১

0Shares

মোশারফ হোসেন।

লকডাউনের কারণে কুমারখালী শ্রমজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অর্থ সংকটে এখন চরমে। বিশেষ করে
রিক্সাওয়ালা, হকার, হাজারো শ্রমজীবী এখন ভবিষ্যত নিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে।

এসব শ্রমজীবী কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেহেতু সরাসরি সরকারি আর্থিক প্রণোদনার আওতায় নেই আবার শ্রম আইনের বাইরে থাকায় পেনশন কিংবা ন্যুনতম ক্ষতিপূরণের সুযোগও নেই।

ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে করোনা পরিস্থিতিতে আয় হারিয়ে এসব মানুষ এখন টিকে থাকবে কি করে।

তিন বছর ধরে কাপড়ের ব্যবসা করে আজাদ মিয়া।

 

এবারের পহেলা বৈশাখ ও ঈদকে কেন্দ্র করে আয় এবং ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।

কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন আগেই ব্যবসার সকল কার্যক্রম চলছিল ধীর গতিতে।

আজাদ মিয়া নিজে তো আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেনই একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মজীবী পাঁচজনও পড়েছেন ক্ষতিতে।

আজাদ মিয়া “বৈশাখ এবং ঈদে আমরা ব্যবসা তো করতে পারলামই না, এখন আমাদের পরিবারই আর্থিকভাবে হুমকির মধ্যে। আমার কর্মচারীদের আমি গত মাসের বেতন দিয়েছি। সামনের মাসে দিতে পারবো কি-না, জানি না। এমনকি তাদেরকে চাকরীতে রাখবো না ছেড়ে দেবো সেটাও বুঝতে পারছি না। এখন তাদের অবস্থা তো আরো খারাপ।”

আজাদ মিয়ার সমস্যা দেখছেন, ভবিষ্যতে নতুন করে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রেও। কারণ তার মতো অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ব্যবসায়ীরা সেভাবে সরকারি প্রণোদনার আওতায় নেই।

ভ্যান চালক পলাশের অবশ্য এখনি অতো দূরের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারছেন না।

ভ্যান চালিয়ে অর্থ উপার্জন করা জহুরুল বর্তমান সময়ে কিভাবে জীবন চালাবেন তা নিয়েই দু:শ্চিন্তায়। পলাশ বলছিলেন,

“আমি অন্যের ভ্যান চালাইতাম। সব খরচ বাদে যা থাকতো তার প্রতিদিন ৩০০ টাকা থাকতো । এখন জিরো।
ধার-দেনা করে আপাতত: চলছেন।
পরে কী হবে তা বুঝতে পারছেন না।
স্টেশন বাজারের ফুটপাতে লেবু বিক্রেতা বাবু বলেন, দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন এর কারণে ঠিক মতো খেয়ে বেঁচে থাকার এখন বড় কঠিন।

সরকারের খাদ্য সহায়তার আওতার বাইরেই রয়ে গেছেন অনেক হাজার- হাজার মানুষ।

বাজারে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এখনো তাদের কর্মীদের বেতন দেয়নি। তারাও রয়েছেন বিপদে।

একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন এরকম একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, তারা গত মার্চ মাসের বেতন পাননি।

এমনকি মার্চের শেষ দিকে যখন পার্লার বন্ধ হয়ে যায়, তখন প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার টাকা ধার নিয়ে গ্রামে ফিরেছেন তিনি।

চলতি মাসেও বেতন পাবেন কি-না, না পেলে কীভাবে সংসার চালাবেন তা নিয়ে দু:শ্চিন্তায় আছেন তিনি।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg