আলামিন হোসেন
মেলা বসছে না, তাদের মুখ মলিন এবারের পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রস্তুতি থাকলেও লকডাউনে পালপাড়ায় চলছে নীরবতা।
বৈশাখী মেলার জন্য নানা ধরনের পণ্য তৈরি করেছিলেন রাজবাড়ীর পাংশার সত্যজিৎপুর পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। লকডাউনে মেলা না হওয়ায় সেগুলো ঘরেই পড়ে আছে।
মাটির নানা জিনিস বানিয়ে বৈশাখী মেলার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন মৃৎশিল্পী কৃষ্টা পাল, সনাতন পাল, বিজন পাল, স্বপন পালরা। শুধু কিছু জিনিসের রঙের কাজটা বাকি ছিল। হঠাৎ লকডাউনের কারণে কোথাও বৈশাখী মেলার আয়োজন হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার শত্যজিৎপুর পালপাড়ার বাসিন্দাদের মুখ মলিন হয়ে গেছে। অনেকের মতো লকডাউনে তাঁরাও পড়েছেন বিপাকে।
পালপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এমনিতেই পালবাড়ির চাকা আর আগের মতো ঘোরে না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্প। যে এলাকায় হাজারো পরিবার এ পেশায় জড়িত ছিল, সেখানে এখন মাত্র অল্প কয়েকটি পরিবার পেশাটিকে আঁকড়ে ধরে আছে। প্রতিবছর বৈশাখ এলেই চলত নানা প্রস্তুতি।
তাঁরা আরো বলেন, এবারও বৈশাখী মেলার অপেক্ষায় ছিলেন পাংশার পালপাড়ার কয়েকটি পরিবার। তাদের বেশির ভাগই প্রতিবছর পয়লা বৈশাখের জন্য মাটির জিনিসপত্র বানিয়ে প্রতীক্ষায় থাকত। মেলা বসলে তারা খেলনা, হাঁড়িপাতিল, পুতুল, ফুলের টবসহ টুকিটাকি নানা তৈজসপত্র নিয়ে পসরা সাজাত। কিন্তু এবারের পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে প্রস্তুতি থাকলেও লকডাউনে পালপাড়ায় চলছে নীরবতা।