শিরোনাম
আজ বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস জেলা কোর কমিটির সাথে ফরিদপুর সদর উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে এসে সাংবাদিকের উপর হামলা ও হত্যার চেষ্টা গোয়ালন্দে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান ইভটিজিংয়ের অভিযোগে সাংবাদিককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার শিক্ষক সংকটে গোয়ালন্দে দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২ কাল থেকে লাগাতার চলবে মাঠের খেলা: মমতাজ রাজবাড়ীতে খাদ্য সহায়তা ও ক্রাচ বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন এক কাপ চা

আগামী ১৪ এপ্রিল কঠোর লকডাউন ঘোষণা! ঘরমুখি মানুষের ভিড়ে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে স্বজনরা

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

0Shares

জহুরুল ইসলাম হালিমঃ
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াতে সরকার সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে। সাত দিনের লকডাউনের পর পুনরায় আগামী ১৪ এপ্রিল কঠোর লকডাউন ঘোষণা আসার পর থেকে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে অনেকে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের ভিড়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের ফেরিতে গাদাগাদি অবস্থা। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, ব্যক্তিগত গাড়ির অনেক চাপ, সঙ্গে পণ্যবাহী ট্রাকও ছিল অনেক। ঘাটে যানবাহন পারাপার হচ্ছিল ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ঘাট দিয়ে। তবে পাটুরিয়া থেকে যে কটি ফেরি দৌলতদিয়ায় এসে ভেড়ে, তাতে মানুষের গাদগাদি পরিস্থিতি দেখা যায়।

বেলা বাড়ার সঙ্গে মানুষের ভিড় আরও বাড়ে। এ সময় দেখা যার ফেরিতে ওঠানামায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে মাস্ক নেই, আবার মাস্ক থাকলেও কানের সঙ্গে বা হাতে ঝুলছে । এমন ঝুঁকিতে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে।

এ সময় কথা হয় বেসরকারি এক কর্মকর্তা মাসুদ রানার সাথে। তিনি বলছিলেন, বর্তমানে ঢাকার অবস্থা বেশি ভালো না তারপর সরকার আবার কঠোর ১৪ এপ্রিল থেকে লকডাউনে যাবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় কে জানে, তারপর অফিস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাই আগেই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি।

ঢাকা থেকে আসা আরেক বেসরকারি এক কর্মকর্তা আছিফুর রহমান বলছিলেন, ঢাকায় থাকলে না খেয়ে মরতে হবে তাই ভাবলাম আগেভাগে বউ-বাচ্চা নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাই। তবে আসার সময় অনেক কষ্ট হয়েছে, বারবার ভেঙে ভেঙে এই পর্যন্ত আসতে হয়েছে। ফেরির ভেতরে যে গাদাগাদি করে এলাম এখন ভয়ে আছি করোনায় আক্রান্ত না হয়ে যাই।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী মহা ব্যাবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, বর্তমান ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এই সপ্তাহের শেষ দিক থেকে সরকার লকডাউনের ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় মানুষ ঢাকা ছাড়ছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যেসব গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছে, তা দ্রুত ফেরিতে উঠে গেছে। অপরদিকে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। যার ফলে ফেরিগুলোতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg