শিরোনাম
কালুখালীতে পাট বীজ উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বালিয়াকান্দিতে অবৈধজাল উদ্ধারে মৎস্য দপ্তরের অভিযান বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ গোয়ালন্দে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিলেন মুদি দোকানের কর্মচারী, আ. লীগের পদ পেয়েই গড়েছেন সম্পদের পাহাড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডুকে মারপিটের ঘটনায় মামলা করে নিরাপত্তা হীনতায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান  বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল সম্পাদক কামরুল ইজিবাইক চাপায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু মানিকগঞ্জ কুকুরের কামড়ে একদিনে আহত ৮২, জনমনে আতঙ্ক সরকারি কলেজের প্যাডে নোটিশ জারি করে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করলেন অধ্যক্ষ

একজন আরিফা বেগম ও চরাঞ্চলের একটি স্কুলের কথন

নিউজ ডেস্ক | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ১৪২৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০

0Shares

রাজবাড়ী’র গোয়ালন্দ উপজেলার প্রত্যন্ত ও চরাঞ্চল উজানচর। এ এলাকার মানুষ অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি শিক্ষা দিক্ষার দিক দিয়েও অনেক পিছিয়ে। ফলে এ জনপদের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে জ্ঞানের আলোই দিক্ষিত করে সামনে নিতে বহুমুখী ভাবনার পাশাপাশি নানাবিধ কর্মকান্ড চালিয়ে থাকেন উপজেলা সদর থেকে দূরে প্রত্যন্ত উজানচরের মন্ডলবাড়ীর আতিয়ার রহমান, ডাঃ জালালউদ্দিন আহমেদ সহ কয়েকজন বিদ্যানুরাগী।

চরাঞ্চল মানুষদের জীবনমান উন্নয়ন ও শিশুদের লেখাপড়ার জন্য স্বপ্ন দেখেন একটি আদর্শ স্কুল গড়ার।

এর মধ্যে মন্ডলবাড়ীর মেয়ে আরিফা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে মাটির টানে ফিরে আসেন শিকড়ে। । এখন একটা চাকরি তারপর বিয়ে। কিন্ত বাবা আর চাচারা মিলে মেয়েটিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলেন ভিন্ন। কোন চাকরি নয়। নিজেরাই রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দের উজানচরে পূর্ব পুরুষের জমির উপর গড়ে তুললেন একটি হাই স্কুল। মেয়েটিকে দেয়া হলো প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব।

পরিবারের বড় মানুষটির নামে স্কুলের নামকরণ করা হলো ‘সাহাজ উদ্দিন মন্ডল হাই স্কুল’। শহরের আলো বাতাসে বড় হওয়া মেয়েটি
চলে এলো অজপাড়াগাঁয়ের ধূধূ বালুচরে।

তখন চরে বৈদ্যুতিক আলোর কথা চিন্তাও করা যেত না। রাতের বেলা মাটির কূপি আর হেরিকেনের আলো। রাস্তাঘাট বলতে ছনের বন আর ক্ষেতের মধ্য দিয়ে সরু পথ। দূরে দূরে ঘরবাড়ি আর রাতের বেলা শেয়ালের ডাক।

বালুচরের দরিদ্র কৃষক পরিবারের শিশু-কিশোরেরা
মাঠে কাজ করে আর মরা পদ্মায় মাছ ধরে।
মেয়েটির বাবা- চাচাদের আদেশ এখানেই জ্বালাতে হবে শিক্ষার আলো। শুরু হলো মেয়েটির সংগ্রাম।
বালুচরে রাত্রি যাপন আর সারাচর ঘুরে ঘুরে অভিভাবকদের অনুনয় বিনয় করে তাদের শিশুদের স্কুলমুখী করা। সে এক কঠিন কাজ। কিন্ত মেয়েটি থেমে যায়নি।চলতে থাকলো তার পথ চলা। শেষে মেয়েটি জয়ী হলো। তার হাতে গড়া স্কুলটি এখন রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৫ সালে মাত্র পয়ত্রিশজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করলেও আজ শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাচঁশতাধিক। সংগ্রামী মেয়েটি অর্জন করেছে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার পুরস্কার সহ জয়িতা পদক।

বিদ্যালয়ের শিক্ষা বান্ধব পরিবেশ, লেখাপড়ার মান নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা পদ্ধতি ও সুষ্ঠু পরিচালনায় এগিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলে বাতিঘর খ্যাত ” সাহাজউদ্দিন মন্ডল ইনস্টিটিউট।

( লেখক, সম্পাদক ও প্রকাশক – রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ, প্রতিষ্ঠাতা – গাজী সাইফুল ইসলাম বিদ্যানিকেতন।
কৃতার্থায়, কবি নিজাম আহমেদ)

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg