জহুরুল ইসলাম হালিম
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর যৌনকর্মীরা দেশ ব্যাপি করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতায় রয়েছেন সর্বচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে । সরকারি নির্দেশে সারা দেশে ৭দিনের ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হলেও এখানে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। প্রত্যেক দিনই খদ্দের আসছেন। পেশাগত কারণে তাদের সময়ও দিচ্ছেন যৌনকর্মীরা।
সরকারি হিসাব মতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ১ হাজার ৬০০ যৌনকর্মীর বসবাস। তবে বিভিন্ন এনজিও এ সংখ্যাকে ৫ হাজারের বেশি দাবি করে আসছে। এখন যে হারে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে, তাতে যৌনপল্লীর এমন ঘিঞ্জি পরিবেশে যেখানে অল্প জায়গায় অনেক মানুষের বসবাস যেখানে স্বাভাবিক সময়েই মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। পল্লীর খদ্দেরদের কে কোথায় থেকে এসেছে, তার শারিরিক অবস্থা কি তা জানার কোন উপায় নেই এমন পরিস্থিতিতে পল্লীর অনেক বাসিন্দারাও এখনো অসচেতন। ফলে একবার এখানে সংক্রমণ ছড়ালে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যৌনকর্মীর অনেকেই জানান, আমরা পেটের দায়ে এখানে রয়েছি। প্রতিদিন বিভিন্ন অ ল থেকে খদ্দের আসা-যাওয়া করেন। পেশাগত কারণে তাদের ঘরে নিতে হয়, না বলার সুযোগ নেই। কিন্তু এদের মধ্যে কে করোনায় আক্রান্ত কে সুস্থ তা শনাক্তের কোনো উপায় পল্লীতে নেই। এজন্য আতঙ্কে রয়েছি। কিন্তু কাজ না করলে যে পেটেও ভাত যাবে না। গত বছর করোনায় পল্লী বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত পল্লীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে, লোকজন যদিও একটু কম। এত ঘিঞ্জি পরিবেশে স্বাস্থ্য বিধি মানা সম্ভব নয়। তবে আমরা ব্যক্তিগতভাবে কিছু সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টা করছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বিষয়ে সরকারি কোনো নির্দেশনা আসেনি। এজন্য আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না। তবে সরকারি কোন সহায়তা এলে তাদেরকে দেয়া হবে।