জহুরুল ইসলাম হালিমঃ
গোয়ালন্দে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মন্ডলকে (৬৫) গুলি করে হত্যা করার সাথে জড়িতদের চিহ্নিতকরন ও গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
আল্টিমেটাম অনুযায়ী শনিবারের মধ্যে দাবি পূরন না হলে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশপথ দৌলতদিয়া ঘাট ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় দৌলতদিয়া হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত গনি মন্ডলের জানাজায় এ দাবি ও আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
জানাজায় হেলিপ্যাডের বিশাল মাঠ হাজার হাজার মানুষে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। চোখের জলে জনতা এই জনপ্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানান।
জানাজার আগে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী আসাদ, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গনি মন্ডলের চাচাতো ভাই শফিকুর রশিদ টিটু, গনি মন্ডলের ছোট ভাই আব্দুল মন্ডল, বড় ছেলে আলম মন্ডল প্রমূখ।
বক্তারা নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন।
রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, গনি মন্ডলের মতো সৎ, আদর্শ ও সদালাপী একজন মানুষ আজ সন্ত্রাসের শিকার হলো। তাহলে তো আজ আর কেউ নিরাপদ নয়। এ সকল সন্ত্রাসীদের এখনই রুখতে হবে। এদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশ পথ দৌলতদিয়া ঘাটকে অচল করে দেওয়া হবে।
গনি মন্ডল দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের টানা ৫ বারের নির্বাচিত সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রান বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান কার্যকরী কমিটির সদস্য।
গনি মন্ডল বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বুধবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তায় দূবৃত্তরা তাকে গুলি করে।
জানাজা শেষে মরহুমের লাশ দৌলতদিয়া হেলিপ্যাড সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।