জহুরুল ইসলাম হালিম: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রাজধানীতে যাতায়তের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা। যাত্রীবাহি গাড়ি ঘাটে কম থাকার জন্য দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট ও লঞ্চ ঘাটের হোটেল ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। খাবারের হোটেলগুলোতে ক্রেতার আকাল পরেছে, কিছু হোটেল ও অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ সরজমিনে দেখা যায় রাস্তার দুই পাশের বেশির ভাগ হোটেল গুলো বন্ধ, তিন চারটি ছাড়া। ক্রেতার সংখ্যা খুব একটা নেই।
এখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, যাত্রীবাহী গাড়ি কমে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে ঘাটের খাবার হোটেল ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ওপর। বেশ কিছুদিন যাবত ঘাট পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে, যাত্রীবাহী গাড়ি গুলোকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না, সরাসরি পরিবহন গুলো ফেরিতে উঠতে পারছে ,ফলে ঘাটের খাবার হোটেল ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব পড়েছে ।
এলেন সরদার নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, বেশ কিছুদিন হলো দৌলতদিয়া ঘাটে গাড়ির সিরিয়াল তেমন চাপ নেই ,গাড়ির সিরিয়াল পরলে আমাদের আয় উন্নতি হয় ,ভাল ইনকাম হয়। আমাদের সারিতে প্রায় ২০টি হোটেল আছে যার বেশির ভাগই বন্ধ। বেলা বাড়লে কিছু হোটেল খুলে তাছাড়া প্রায় দুই একটা ছাড়া সবই বন্ধ থাকে।
হোটেল ব্যবস্যায়ি ইলিয়াস শেখ বলেন, আমাদের এই ব্যবসাটা মুলত যাত্রী নির্ভর, গাড়ির চাপ থাকলে যাত্রী বেশি থাকে তখন আমাদের রোজগার ভাল হয়। আর যাত্রী কম হলে আমাদের ইনকাম কমে যায়, এই ঘাট এলাকায় হোটেল ব্যবসা, ফলের দোকান, ভ্যারাইটিস স্টোর গুলোর বেশির ভাগ ইনকাম আসে যাত্রীদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সূত্র জানায়, ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সর্বচ্চ চেষ্টা করছে বর্তমানে এই নৌরুটে ১৬ টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে। ট্রাকের কিছুটা সিরিয়াল থাকলেউ , নেই পরিবহনের সিরিয়াল।