কুমারখালী প্রতিনিধি।
কুমারখালী উপজেলার চরসাদীপুর ইউনিয়নে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন চরসাদীপুর ইউনিয়ন আও; লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক।
(২৪) মার্চ বুধবার দুপুরে কুমারখালীর গড়াই কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চরসাদীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী গণসংযোগ করে যাচ্ছি আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষ বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব তোফাজ্জল হোসেন মানিক বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে।
গত (২২) শে মার্চ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টা ৪৫ মিনিটের সময় আমার দলীয় কার্যালয় থেকে ব্যবসায়ী কাজে নিজ দোকানে যাওয়ার পথে ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক ধরে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে জোড়পূর্বক একটি নারীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক করেছি বলে মোবাইলে জবানবন্দি নিতে চাই আমি মিথ্যা জবানবন্দি দিতে না চাইলে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে এবং আমার শরীর থেকে দুটি গেঞ্জির একটি খুলে নেয় এর পরে পাশের ঘর থেকে একটি মহিলাকে ধরে এনে আমার সাথে ছবি ও ভিডিও করে। আমার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রচার করা হয়। এ এসব মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। আমাকে রাত তিনটার দিকে অর্থের বিনিময়ে আমার পরিবারের লোকজন ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। যারা এমন মানহানি করেছে এবং যারা মানহানি সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মানহানি মামলা করবেন বলেও জানান কুমারখালীর চরসাদীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক(উকিল)।
এ সংবাদ সম্মেলনে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান বাকি, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল কালাম আজাদ টিক্কা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের (২২) মার্চ সোমবার উপজেলার চরসাদীপুর ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর হককে এক নারীর সাথে আটক করা হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।