সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক তরুণীর বিয়ের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রতারণা করে স্থানীয় রহিমা বেগমের নিকট থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভূক্তভোগী রহিমা বেগম বাদি হয়ে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে-২ নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিবালয় উপজেলার শাহিলী গ্রামের লাল খানের পুত্র সোহাগ খানের সাথে একই উপজেলার দুবিলায়াডাঙ্গা গ্রামের মো. রেজেক আলী শিকদারের মেয়ে অনি আক্তারের (২২) বন্ধুত্ব হয়। এ সুযোগে গত ১২ জানুয়ারী অনি আক্তার প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বরংগাইল বাসস্ট্যান্ডে নামার পর সোহাগ খান বেড়ানোর কথা বলে অনি আক্তারকে বরংগাইল কলেজের পূর্ব পাশের চকে সরিষা ক্ষেতের ড্রেনের মধ্যে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটানায় তাদের দু’জনকে বিয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে এবং থানা পর্যায়ে একাধিক বিচার-শালিস ও বৈঠক হয়। কিন্ত সোহাগ খান বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অনি আক্তার তার বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ সোহাগকে আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করে। এ পরিস্থিতিতে শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম অনিকে সোহাগের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে অনি আক্তারের মা রহিমা বেগমের নিকট থেকে কয়েক দফায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বিয়ের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিয়ে দিতে ব্যর্থ হন। এরপর রহিমা বেগম ইউপি সদস্যর নিকট টাকা ফেরত চাইলে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম উল্টো গালি-গালাজ করে বলেন তোমাদের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেওয়া হয় নাই, তোমরা যা পার করোগা। এছাড়া ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ায় রহিমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হর-হামেশা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে প্রাণ নাশের হমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা এবং বিয়ে নিয়ে বিচার-শালিস ও বৈঠকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি কোন টাকা পয়সা নেইনি। সামনে নির্বাচন। প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
এ প্রসঙ্গে শিবালয় মডেল ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, মেয়ের বাবার কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরে মেম্বার রফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। তবে টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই।