উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাতারে গিয়েছিলেন খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মুসলিম পাড়া গ্রামের মোঃ আল আমিন। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল। পাঁচ টন ওজনের রিং চাপায় প্রাণ হারিয়েছে নির্মাণ শ্রমিক আল আমিন।
একমাত্র সন্তানের অকাল মৃত্যুতে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা মনোয়ারা বেগম এবং বাবা মনু মিয়া। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মুসলিম পাড়া গ্রামের মনু মিয়া ও মনোয়ারা বেগমের একমাত্র ছেলে আল আমিন (২৫)। এক বছর আগে উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ করে শ্রমিক হিসেবে কাতারে যায় আল আমিন।সেখানে রাজধানী দোহা’য় “আরআইডিজিই কন্সট্রাকশন” নামে একটি বেসরকারী নির্মাণ কোম্পানির কাজে যোগ দেয়। গত বৃহস্পতিবার ( ৪ মার্চ) রাস্তা সংস্কারের সময় নালায় একটি পাঁচ টন ওজনের রিং বসানোর সময় রিং নামানোর মুহুর্তে সে-ও নালায় পড়ে যায়। পরে রিং টি তার দেহের উপর পড়লে নিম্নাংশ থেতলে যায়।
দোহা’য় কর্মরত নূর আলম নামে আরেক প্রবাসী জানান, ঘটনার সময় রাস্তার নিচ দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি, বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার লাইন রিং বসানোর কাজ করছিলেন। রিং ফেলার পূর্ব মুহুর্তে পা পিছলে আল আমিন গভীর গর্তে পড়ে যায়। পরে তার কোমরের উপর রিং পরে কোমর থেতলে যায়। ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান।
আল আমিনের লাশের অপেক্ষায় পরিবার। সরকারের কাছে সন্তানের লাশ ফেরত আনার আকুতি জানান তারা।