রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সদ্য নির্বাচিত রাজবাড়ী জেলা পরিষদ ১নং ওয়ার্ড সদস্য ও গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইউনুস মোল্লার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নুর আলম-এর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার নারীর নাম রেহেনা আক্তার রানী (৩৫), তার বাড়ি কুমড়াকান্দি পৌর ৭নং ওয়ার্ড।
এব্যাপারে মারধরের শিকার নারীর স্বামী মো. নুর আলম বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদ্য নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য মো. ইউনুস মোল্লা (৫২) এবং ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদের (৫৫) বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেছেন। মো. নুর আলম অভিযোগে উল্যেখ করেন, তার বাড়ির সামনে রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য বাজেট হয় এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তার বাড়িতে যাওয়া আসা করার জন্য ৬ ফুট জায়গা রেখে বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ করার কথা বলা হয়। কিন্তু মো. ইউনুস মোল্লা উক্ত স্কুল কমিটির সভাপতি হওয়ায় ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ কে দিয়ে সবার কথা উপেক্ষা করে বাড়িতে যাওয়া আসা করার জন্য ৬ ফুট জায়গা না রেখেই নির্মান কাজ শুরু করেন।
সোমবার (১ মার্চ) বিকাল ৫টার সময় মো. নুর আলম এর নিজ বাড়ির সামনে ১নং বিবাদী মো. ইউনুস মোল্লা ও ২নং বিবাদী আবুল কালাম আজাদের নিকট তার দেখা হয় এবং বিবাদীদের কাছে ৬ ফুট জায়গা না রাখার কারন জিজ্ঞাসা করলে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এসময় নুর আলমের স্ত্রী এগিয়ে আসলে বিবাদীদ্বয় তাদের দুজনকেই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় তার স্ত্রী গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১নং বিবাদী মো. ইউনুস মোল্লা ইট দিয়ে তার স্ত্রীর বাম পায়ে আঙ্গুলে আঘাত করে থেতলানো রক্তাক্ত যখম করে এবং তার স্ত্রী পরিহিত কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীদ্বয় তাদেরকে খুন যখমের হুমকি দেয়। আহত রেহেনা আক্তার রানীকে গোয়ালন্দ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা নিতে বলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে গোয়ালন্দ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায় রানীর বাম পায়ের তিনটি আঙ্গুল থেতলানো ও পিঠে আঘাত করা হয়েছে।
বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনুস মোল্লা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নুর আলম দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের ভবন নির্মান কাজের ঠিকাদারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে সে কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে তারা আমাকে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।আমার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলমের বৌ নিজেই হোঁচট খেয়ে পড়ে সামান্য আহত হয়।
এব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবির বলেন, প্রাথমিক ভাবে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।