মোশারফ হোসেন কুমারখালী:
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিয়ের মাত্র তিনমাসের মাথায় মরিয়ম (১৮) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ হত্যার পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
ঘটনাটি শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর কামাড়পাড়াতে ঘটেছে।নিহত ব্যক্তি ওই এলাকার আক্কেল আলীর ছেলে পারভেজ এর স্ত্রী ও জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামের রহুল আমিনের মেয়ে।ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে পারভেজ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মাত্র তিন মাস আগে শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যাণপুর কামাড়পাড়ার আক্কেল আলীর ছেলে পারভেজ এর সাথে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামের রহুল আমীনের মেয়ে মরিয়মের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়।স্বামী হিসেবে পারভেজকে পছন্দ না হাওয়ায় প্রায় ঝগড়া,তর্কবিতর্ক ও বাপের বাড়ি চলে যেত মরিয়ম।সপ্তাহখানেক আগেও বাপের বাড়ি চলে যায় মরিয়ম।এরপরে পারভেজ বউ আনতে গেলে মরিয়মের বাড়ির লোকজন তাকে বেঁধে রাখে।পরে দুই বাড়ির লোকজন বসাবসির মাধ্যমে চলমান মনমালিন্য ঠিকঠাক করে দিলে বউ নিয়ে বাড়ি ফিরে পারভেজ।বাড়ি ফেরার মাত্র তিনদিন পরেই (আজ শুক্রবার) মরিয়ম নিজঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার করেন।তবে মরিয়মেন বাবার বাড়ির লোকজন দাবি করেন, আত্মহত্যা নয়,পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁস লাগানো নাটক সাজিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে নিহের এক আত্মীয় মুঠোফোনে বলেন, মাত্র তিনমাস আগে বিয়ে হয়েছিল ওদের।কিন্তু স্বামী দেখে পছন্দ হয়েছিল না মরিয়মের। সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত।সপ্তাহখানেক আগে মরিয়ম বাড়ি ফিরে আসে।কয়েকদিন পরে স্বামী পারভেজ মরিয়মকে নিতে আসলে বেঁধে রাখা হয়।পরে দুই পরিবার বসাবসি করে মরিয়মকে স্বামীর বাড়িতে পাঠায়।কিন্তু সেখানে যাওয়ার সাত্র তিনদিন পরেই খবর পেলাম আত্মহত্যা করেছে।তিনি আরো বলেন, পারভেজকে বেঁধে রাখার বদলা নিতেই হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক করছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন,মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।