শিরোনাম

দেড়যুগ পর আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে আরিচা – কাজীরহাট ফেরী ঘাট

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

0Shares

 

‘দেখা আরিচার ঘাটে, শাহজালাল ফেরিতে,
রংপুরি এক ছোকরা বন্ধুর সাথে রে
রংপুরি এক ছোকরা বন্ধুর সাথে’

দিলরুবা খানের গাওয়া জনপ্রিয় এ গানটিতে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। তবে আরিচা ঘাট পাটুরিয়ায় স্থানান্তরিত হওয়ার পর গত দেড় যুগে এ ঘাটে ভাটা পড়েছে, ঘাট হারিয়েছে তার যৌবন।

তবে সম্প্রতি ঘাট কর্তৃপক্ষ নতুন করে আরিচা- কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচলের উদ্যোগ নেওয়ায় আরিচা ঘাট এলাকায় প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি ফেরি পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করলেও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আগামী শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মা-যমুনার নাব্যতা সংকট ও দুরত্ব কমানোর জন্য ২০০১ সালের ২২ ফেরুয়ারি আরিচা থেকে পাটুরিয়ায় স্থানান্তর করা হয় ফেরি সার্ভিস। এরপর থেকে জৌলুস হারাতে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট। বন্ধ হয়ে যায় হাজারো মানুষের ছোট বড় মিলে প্রায় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে আবার প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে এই ঘাট। চালু হচ্ছে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের ফেরি চলাচল। এরই মধ্যে প্রায় সম্পন্ন দুই বন্দরের ট্রার্মিনালসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ। ফেরিঘাট চালুর খবরে খুশি দুই প্রান্তের লাখো মানুষ। ফেরি চলাচল শুরুর মধ্য দিয়ে ফের ব্যবসা বাণিজ্যসহ অন্যান্য বিষয়ের উন্নয়ন হবে হবে ধারণা এলাকাবাসীর।
বছর দুয়েক আগেও এই নৌরুটে ফেরি চলাচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এবং বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারণে সফলতার আলো দেখেনি ফেরি চলাচলের উদ্যোগ। কিন্তু পুনরায় ফেরি চলাচলের উদ্যোগ নেওয়ায় স্থানীয়রা স্বাগত জানালেও কর্তৃপক্ষের এই প্রচেষ্ঠা কতটুকু সফলতা পাবে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন সুশিল সমাজের ব্যক্তিরা।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু করতে যমুনা নদীতে নতুন করে চ্যানেল তৈরিতে ১২ লাখ ঘন-মিটার বালু ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছে। দুইপারের ঘাট-পন্টুন নির্মাণ, বিকন বাতি, মার্কিং বাতিসহ আনুসাঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের এখন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে দুই পারের নতুন দুটি ফেরিঘাট নির্মাণসহ নদীর নাব্যতা সংকট রোধে ৫টি ড্রেজার দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হয়েছে চ্যানেল খননের কাজ। সম্প্রতি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে একটি ফেরি। প্রথমে চারটি ফেরির মাধ্যমে যাত্রীবাহী যানবাহন, সাধারণ যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার শুরু করা হবে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে বলে দাবি ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষের।

সূত্র, রাইজিং বিডি

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg