জহুরুল ইসলাম হালিম : বেশ কয়েক দিন ধরেই ফাঁকা ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট। তবে আজ রোববার সকাল থেকে হঠাৎ বাড়তে থাকে গাড়ির চাপ। বেশির ভাগ ছিল যাত্রীবাহি গাড়ি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর না গড়াতেই ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির লাইনও দীর্ঘ হচ্ছিল।
ঘাট–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, আটরশি ওরস ও ৩ দিন ছুটি থাকায় গাড়ির চাপ একটু বেশি। যে কারণে অধিকাংশ যাত্রীবাহী ও ছোট গাড়ি পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া ঘাট ফাঁকা ছিল। ঢাকাগামী যানবাহনের তেমন চাপ ছিল না বললেই চলে। যেসব গাড়ি আসত, তা সরাসরি ফেরিতে উঠে যেত। কিন্তু আজ সাকাল থেকে ঢাকাগামী গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার লম্বা সারি পড়ে যায়। নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় থাকা গাড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি।
দৌলতদিয়া ঘাট পার হওয়ার অপেক্ষায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার লম্বা সারি তৈরি হয়েছে। রোববার দুপুরে দৌলতদিয়া ফায়ার সার্ভিস এলাকায় দৌলতদিয়া ঘাট পার হওয়ার অপেক্ষায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার লম্বা সারি তৈরি হয়েছে। দুপুরে দৌলতদিয়া ফায়ার সার্ভিস এলাকায়
বরিশাল থেকে আসা ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে প্রায় ঘণ্টাখানেক বসে আছেন। এখনো সামনে যে গাড়ি আছে, ফেরিতে উঠতে আরও দুই তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে দৌলতদিয়া ঘাট অনেকটা ফাঁকাই ছিল। আটরশি ওরস ও ৩ দিন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় হঠাৎ করে আজ সকাল থেকে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। তবে গাড়ির এই দীর্ঘ সারি বেশিক্ষণ থাকবেনা বলে তিনি জানান। ছোটবড় মোট ১৬টি ফেরি যানবাহন গুলো দ্রুত নদী পারাপার করছে বলেও তিনি জানান।