স্টাফ রিপোর্টার,বালিয়াকান্দি:
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন, ২০৪১ বাস্তবায়নের একটি ছোট্ট পদক্ষেপ হিসেবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “…যাদের জন্য, যাদের অর্থে আজকে আমরা চলছি, তাদের যাতে কষ্ট না হয়, তার দিকে খেয়াল রাখুন…” এই নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং বালিয়াকান্দি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা ভূমি অফিস বালিয়াকান্দি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নামজারী কার্যক্রমে শুনানী গ্রহণের স্থানে ‘অধিকার দর্পন’ স্থাপন করেছেন। একটি ৪০ইঞ্চি ডিসপ্লে স্ক্রিনে সরাসরি প্রস্তাবিত খতিয়ানটি শুনানীর সময় প্রদর্শন করে সেবাগ্রহীতার নিকট স্বচ্ছ ও ভুলত্রুটিমুক্ত সেবা প্রদান সম্ভব হবে। সেই সাথে মিসকেস সৃজনের সংখ্যা হ্রাসের মাধ্যমে করণিক ভুল জাতীয় মামলাজট কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
নামজারী কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল নামজারী অনুমোদন শেষে অনুমোদিত পর্চা/খতিয়ান প্রদান। অনেক সময়ই দেখা যায় যে, অনুমোদিত পর্চা/খতিয়ানে ভুলত্রুটি থেকে যায় যা পরবর্তীতে সেবাগ্রহীতাকে ভোগান্তির মুখে ফেলে এবং মিসকেসের মাধ্যমে সংশোধন করতে বাধ্য করে ও মিসকেসের সংখ্যাও বেড়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে একটি সহজ উপায়- শুনানী গ্রহনকালে প্রস্তাবিত খতিয়ান/পর্চাটি অনুমোদনের পূর্বেই আবেদনকারীকে এবং দাতা/বিবাদীকে (যদি উপস্থিত থাকে) প্রদর্শন করে নিশ্চিত হয়ে নেয়া যাতে কোনরকম ভুল যেমন নামের বানান, ঠিকানা, অংশ, শ্রেণি, পরিমাণ, ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা। আধুনিক ই-নামজারী প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান/পর্চাটি খুব সহজেই বড় পর্দায়/স্ক্রিনে প্রদর্শন করা সম্ভব। ফলে প্রস্তাবিত খতিয়ানটি প্রিন্ট না করেই সেবাগ্রহীতার দ্বারা চিহ্নিত কোন সংশোধন থাকলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেই নিশ্চিত হয়ে তাৎক্ষণিক সংশোধন করে অনুমোদন দিতে পারবেন। এরফলে ভবিষ্যতে আবেদনকারীর হয়রানির শিকার হতে হবে না বা মিসকেস-এর মাধ্যমে সংশোধনের আবেদন করতে হবে না।