জহুরুল ইসলাম হালিম:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ৩নং ওয়ার্ড বেপারী পাড়া হইতে ইদ্রিস মিয়ার পাড়া অভিমুখে রাস্তায় ৩৩’ফুট দৈর্ঘ্যের ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে এবং উপজেলা ত্রাণ শাখার বাস্তবায়নে একটি আরসিসি সেতু ২২লাখ ৯৯ হাজার ৫শত ৫ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সেতু নির্মিত হলেও সড়ক নির্মিত হয় ঢিলেঢালা ভাবে। ইউনিয়নের বেপারী পাড়া ও ইদ্রিস মিয়ার পাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদীর শাখা। এই পদ্মা নদী শাখার খাল পারাপারের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার্থে সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন সংযোগ সড়ক না থাকায় ও সংযোগ সড়কের অভাবে দুই গ্রামের বাসিন্দা, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
সেতুটি নির্মাণের খবরে খুশি হয়েছিলেন গ্রামবাসী। তারা ভেবেছিলেন সেতু হয়েছে গ্রামবাসীর কষ্টের দিনও শেষ হয়ছে। কিন্তু সড়ক না থাকায় তাদের কষ্ট আরও বেরেছে।
ফলে সড়ক না থাকায় চলাচল করতে অসুবিধা হওয়ায় সেতুটি তাদের কপালে দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। জনস্বার্থে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটির কাজ জরুরি ভিত্তিতে ভরাটের দাবি জানান গ্রামবাসী।
বেপারী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছামাদ বেপারি, আলম, রফিকুল, রানাসহ বেশ কয়েকজন জানান, সেতু রয়েছে কিন্তু সেতু পার হওয়ার কোনো রাস্তা নেই। কবে মাটি ফেলে রাস্তা করবে কে জানে। রাস্তা না হলে এই সেতু গ্রামের মানুষের কোনো উপকারে আসবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ প্রতি বছরই করা হয় কিন্তু পদ্মার স্রোতে আবার তা প্রতি বছরই বিলীন হয়ে যায়। অচিরেরই আবার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ করা হবে।