গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল সহকারী কোপালো নিরাপত্তা প্রহরীকে

জহুরুল ইসলাম হালিম / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২১

0Shares

জহুরুল ইসলাম হালিম :
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা প্রহরী তারিকুল ইসলামকে (৩৭) কে ধারালো রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে গুরতর জখম করেছেন হাসপাতালেরই ডেন্টাল সহকারী। পরে নিরাপত্তা প্রহরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডেন্টাল সহকারী প্রদীপ কুমার মজুমদার (৪৪) কে রাতেই হাসপাতালের আবাসিক ভবন থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
ডেন্টাল সহকারী প্রদীপ কুমার মজুমদার পিরোজপুর স্বরুপকাঠির পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামের মৃত রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের ছেলে।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আহত কোপানো নিরাপত্তা প্রহরী তারিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট প্রদীপ কুমার মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলার কক্ষে বাস করেন। বহিরাগত মাদকসেবীদের সাথে করে নিয়মিত ইয়াবা, গাঁজাসহ মাদক সেবন করে আসছিল। প্রতিদিনই তার কাছে বহিরাগতদের যাতায়াত ছিল হাসপাতালে। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে প্রদীপকে একাধিকবার সতর্ক করলেও কোন তোয়াক্কা করেননি সে। সম্প্রতি তাকে পুনরায় এ বিষয়ে নিষেধ করলে সে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবাসিক ভবনের সামনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ এবং আমি নিজে কোটে দাঁড়িয়েছিলাম। আবাসিক ভবনের কক্ষ থেকে হঠাৎ প্রদীপ হাতে একটি বড় ধারালো রামদা নিয়ে এসে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দ্রুত সরে যেতে বলেই কোপ বসিয়ে দেয়। বাম হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে বৃদ্ধাঙ্গুলী ও তর্জনী আঙ্গুলে লেগে রক্তাত্ব জখম হয়। আবারো কোপ দিলে আমি সহ সকলে ঝাপটে ধরলে আমি প্রাণে রক্ষা পাই। এ সময় তার কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। যা বের করে প্রদর্শন করছিল আমাকে গুলি করতে। ঘটনাস্থলে আসিফ মাহমুদ ছাড়াও আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নিতাই কুমার ঘোষ, চিকিৎসা কর্মকর্তা সামিউল হুদা এবং রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট তাপস মন্ডল সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ বলেন, প্রদীপের এমন কর্মকান্ডের কারণে প্রায় ৭ মাস আগে স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে নিজেই শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে তার স্ত্রী ঢাকা মেডিকেলে মারা যান। এ ছাড়া মাদক সেবনের বিষয়টি উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে তিন মাস আগে জেলার পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়। সেখানেও স্থানীয়দের সাথে ঝামেলা করলে এখানে ফিরিয়ে আনা হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখ জনক। হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী তারিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করলে রাতেই আবাসিক ভবন থেকে প্রদীপকে আটক করে শুক্রবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg