এনামুল হক,(ময়মনসিংহ):জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে।
গত শনিবার(২৩ জানুয়ারী) বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং সহকারী অধ্যাপক, মােঃ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের প্রভাষক সোনিয়া ফারহানা ছনি এবং প্রভাষক মোঃ মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফিরােজ আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন, সাইকি, মাহিম এবং ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী রকিব।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড.এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বিভাগের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানিয়ে বলেন, “অসাধারন এই শিক্ষকত্রয়ীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এতটা কম সময়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। আমি বিশ্বাস করি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ একটি বিশাল মহীরোহে রুপান্তরিত হবে এবং বাংলাদেশের সব জায়গায় সুনাম ছড়িয়ে পরবে। সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষর্থী হিসেবে তোমাদের অন্যের জন্য ভাবতে হবে। শুধু নিজে ভালো থাকলে চলবেনা। কিভাবে রাষ্ট্র তথা সারাদেশের মানুষ ভালো থাকে সেই চিন্তাই করতে হবে। ” এছাড়া তিনি ইউজিসি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠার পেছনে যাদের অবদান রয়েছে তাদের সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাসুদুর রহমান বলেন “সমাজবিজ্ঞানের প্লাটফর্মে কোনো কথা বলা বা শোনা সবকিছুই একটা ভালোলাগা কাজ করে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বিভাগগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমাদের বর্তমানে দুইটি ব্যাচে শিক্ষার্থী রয়েছে যারা পড়াশোনা সহ অন্যান্য সকল কার্যক্রমে যথেষ্ট সক্রিয়। সব মিলিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একটু সুন্দর ভবিষ্যত আমি দেখতে পাচ্ছি’। সকলের চেষ্টায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগকে অনেকদূর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
সোনিয়া ফারহানা সনি বলেন, “সমাজের উন্নয়নে ঐতিহ্যবাহী এই বিভাগের ভূমিকা অপরিসীম।সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির অংশগ্রহণ ও যথাযথ ব্যবহারে সমাজবিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন পরিবর্তনসহ নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমাজে এর প্রভাব সমাজবিজ্ঞানের উন্নয়নের অংশ। জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র বিমোচন, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক মূল্যবোধ, সম্পর্ক ও সংস্কৃতি কোনকিছুই সমাজবিজ্ঞান চর্চার বাইরে নয়।” বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন এ বিভাগটিকে এগিয়ে নিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের হতে হবে বিনয়ী। বিনয়ী হলেই তারা সবক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করতে পারবে। বিভাগের উন্নয়ন বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন বিভাগ হিসেবে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকবেই। আমরা সেই প্রতিবন্ধকতা খুব দ্রুত কাটিয়ে উঠব। আমাদের বিভাগের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে এবং করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমরা আমাদের নিজস্ব ক্লাসরুম,লাইব্রেরী এবং পর্যাপ্ত বই পাব। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা যে সেশনজটে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমে সেশন জট দূর করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
আলোচনা শেষে কেক কেটে এবং ফানুস উড়ানোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।