রাজবাড়ীর কৃতিসন্তান সাটুরিয়ার উপজেলার ইউএনও আশরাফুল আলমের উদ্যােগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় উপজেলায় চালু হলো গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স। এ নিয়ে তিনি ফেসবুকে একটা স্টাটাস দেন। নিচে তা হুবহু তুলে ধরা হলো
গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্সঃ একটা স্বপ্নপূরণ
তখন সদ্যই যোগদান করেছি সাটুরিয়া উপজেলার ইউএনও হিসেবে। ঢাকার কাছের উপজেলা হিসেবে কল্পনায় যতটা উন্নত হিসেবে উপজেলাকে কল্পনা করেছিলাম বাস্তবে সেরকম দেখিনি। বিশেষ করে ইউনিয়নগুলো থেকে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা পিছিয়ে পড়া মনে হয়েছে; রাস্তাগুলোও সরু। তখনই চিন্তা হচ্ছিল এসব জায়গা থেকে মানুষ কীভাবে অসুস্থ রোগীকে বিশেষ করে প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালে নেবে। এরকম একটা সমস্যা থেকেই মাথায় ভাবনা কাজ করছিল কীভাবে আরেকটু সহজভাবে এরকম দূরবর্তী জায়গা থেকে রোগীদের বিশেষ করে প্রসুতি মায়েদের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি আরো সহজ করা যায়। চিন্তা ছিল সিএনজি ইঞ্জিন এর সাথে কাস্টমাইজড বডি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কিন্তু যারা সিএনজি গাড়ি আমদানি করে এমন কয়েকটা জায়গা নক করে মন খারাপই হয়েছিল। সবশেষে নক করলাম উত্তরা মোটর্স-এ। একদিন ঢাকায় উত্তরা মোটর্স-এর হেড অফিসেই চলে গেলাম চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে সাক্ষাতে। আলাপে জানলাম আমি যেটা চাই এরকম একটা সার্ভিস উনি সারা বাংলাদেশের জন্য ভাবছেন। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেল। এরপর অনেক কিছু……।
অবশেষে, আমরা উপজেলা উন্নয়ন ও পরিচালন প্রকল্পের মাধ্যমে দুইটা অ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়। গ্রামীণ সরু রাস্তায় চলবে বলে নাম রাখলাম “গ্রামীণ অ্যাম্বুলেন্স”।
সেবা পাবেন কীভাবেঃ উপজেলার যেকোন ইউনিয়ন থেকে ফোন করলেই এই সার্ভিস নিতে পারবেন।
যোগাযোগঃ ০১৭০৬০৭৭১০০
০১৭০৬০০৪৯৪৫
খরচঃ সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী নিতে ৪০০ টাকা এবং মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিতে ৬০০ টাকা
কৃতজ্ঞতাঃ মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক এমপি মহোদয়ের প্রতি, জেলা প্রশাসক মানিকগঞ্জ জনাব এস এম ফেরদৌস স্যারের প্রতি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো মহোদয় এবং সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাটুরিয়ার সকল জনসাধারণের প্রতি। এছাড়াও কৃতজ্ঞতা উত্তরা মোটর্সের প্রতিও।
ধন্যবাদান্তে,
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ
(আপনারা সাটুরিয়ার সকল মানুষের কাছে এই সেবা সম্পর্কিত বার্তাটি পৌঁছে দিন যেন বেশি সংখ্যক মানুষ এই সেবা সম্পর্কে জানতে এবং সহজে সেবা পেতে পারেন।)