জহুরুল ইসলাম হালিম// রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিআইডাব্লিইটিসি পরিচালিত ওয়েটস্কেলের (ট্রাক মাপার যন্ত্র) টোলের রশিদ নেওয়ার সময় নিধার্রিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় কর্তব্যরত আনছার ও ওয়েটস্কেলের (ট্রাক মাপার যন্ত্র) অপারেটরের হাতে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারকে অফিসের ভিতরে নিয়ে মারপিট করেছে সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ১০ জানুয়ারি (রবিবার) রাত সাড়ে ৮টার সময় ঝিনাইদাহ জেলার কোটচাঁদপুর থেকে কাঁচা মালবাহী ট্রাক ঢাকা যাওয়ার পথে গোয়ালন্দ উপজেলা কোর্ট চত্বর সংলগ্ন ওয়েটস্কেলে (ট্রাক মাপার যন্ত্র) কর্মরত আনছার সদস্য মো. রানা হোসেন (৩০) এবং অপারেটর মো. রাজু আহমদের হাতে সরকার নিধার্রিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ার কারনে ট্রাক ( নং ঢাকা মেট্রো ২০৫৩৮০) ড্রাইভার জাহাঙ্গীর আলম (৩৩) ও হেলপার আবু সাইদ ( ২৮) মারপিটের শিকার হয়েছেন ।
ট্রাকের হেলপারকে বিআইডাব্লিউটিসির অফিস রুমে আটক করে মারপিট করতে থাকে, হেলপার কে মারতে দেখে ট্রাক ড্রাইভার গাড়ি থেকে হেলপার কে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মারধর করেন। তাদের চিৎকারে অন্য ট্রাকের ড্রাইভার হেলপার এগিয়ে এসে উদ্ধার করেন। এ সময় গাড়ি চলাচল না করায় মহাসড়কে লম্বা সিরিয়াল পড়ে যায়। ওয়েটস্কেলের (ট্রাক মাপার যন্ত্র) পাশে অবস্থিত গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মো. রফিকুল ইসলাম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রয়ন আনে এবং আনছার সদস্য অপারেটরের যথাযথ বিচারের আশ্বাসে ট্রাক ড্রাইভার সড়কে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করে।
ট্রাকের হেলপার মো. আবু সাইদ বলেন , স্কেলে রশিদ নেওয়ার জন্য কাউন্টারে যাই, সরকার নিধার্রিত ৭৫ টাকা টোল দেওয়ার পরে আনছার অতিরিক্ত আরো ৫০ টাকা দাবী করে, এসময় অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ায় আনছার আমার স্কেল রশিদ দিতে অস্বীকার করেন। আমি স্কেল রশিদ চাইলে আনছার আমাকে কিলঘুষি মারতে মারতে রুমের মধ্যে নিয়ে যায় এবং আমার ড্রাইভার এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করেন। তখন আমাদের চিৎকারে অন্যন্যা গাড়ির ড্রাইভার হেলপার এসে আমাদের উদ্ধার করেন।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহ ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, ড্রাইভার হেলপারের গায়ে হাত দেওয়ার কারনে ওয়েসিটি
অপারেটর ও আনছার সদস্য কে সাময়িক ভাবে দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হয়েছে । বিষয় টি উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয় হবে।