জহুরুল ইসলাম হালিম: চাঁদা না দেয়ায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর
মধ্যপাড়ার মো. চাঁদ আলী শেখের করাত কল (স’মিল) বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ
উঠেছে তারই ফুপাতো ভাই প্রতিবেশী মো. ইসলাম জোয়ার্দারের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, রাজবাড়ীর মুরগির র্ফাম ও বালিয়াকান্দি সড়কের
বহরপুর এলাকায় খাল ভরাট করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে ৮মাস আগে স’মিল
স্থাপন করেন চাঁদ আলী শেখ। মিল চালুর ১মাস পর স‘মিল চলায় স্থানীয়দের আপত্তি
না থাকলেও প্রতিবেশী ইসলাম জোয়ার্দার শব্দ ও বায়ু দূষণে সমস্যা হচ্ছে বলে আপত্তি তোলেন। এ অবস্থায় স‘মিল মালিক ও ইসলাম জোয়ার্দার এর মধ্যে বিরোধ বাঁধলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্যরা বসে সকলের সম্মতিতে ইসলাম
জোয়ার্দারের বাড়ির পাশে ৭ ফুট উচু দেওয়াল তৈরি করে দেয় মিল মালিক।
কিন্তু ইসলাম জোয়ার্দার সবার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ৯নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরে
লিখিত অভিযোগ করেন। তার প্রেক্ষিতে ২৩ নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর স’মিল বন্ধের
নোটিশ দেন। সেই আলোকে স’মিল বন্ধ রেখে মালিক মো. চাঁদ আলী শেখ পরিবেশ অধিদপ্তরের স্বরণাপন্ন হন এবং ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন।
স্থানীয়রা জানান, মিল মালিক চাঁদ আলী শেখ ও ইসলাম জোয়ার্দার পরস্পর মামাতো ফুফাতো ভাই। উভয়ের মধ্যে ব্যক্তিগত বিরোধের কারণেই এমন হচ্ছে।
স’মিল চলায় আমাদের কোন অভিযোগ নেই।
স’মিল মালিক চাঁদ আলী শেখ বলেন, কিস্তি ও ধার দেনা করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খচর করে স’মিল করেছি। মিলের আয়েই চলে নিজের ও শ্রমিকদের কিস্তি এবং সংসার।
তাছাড়াও এই মিলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক কাঠ ও ফার্নিচার প্রতিষ্ঠান। মিল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারাও। ইসলাম
জোয়ার্দার আমার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে, যা না দেয়ায় আমার স‘মিল বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে। পরিবেশ অধিদপ্তর স’মিল বন্ধের নোটিশ দিলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মিল বন্ধ রেখে ছাড়পত্রের জন্য যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করেছি। আশা করছি দ্রুতই ছাড়পত্র পাবো।
অভিযুক্ত ইসলাম জোয়ার্দার বলেন, স’মিলের শব্দ ও ধুলোয় শিশু বাচ্চাদের পড়াশুনা
পরিবেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। যে কারণে প্রতিকার চেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ
বিভিন্নস্থানে লিখিত অভিযোগ করেছি। তবে আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাসেদ বলেন, একটি লিখিত
অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকায় স’মিল বন্ধের নোটিশ দিয়েছি। পরবর্তীতে স’মিল মালিক ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। যার যাচাই-বাছাই চলছে।বহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, চাঁদ আলী একটি স’মিল করলে
পাশের ইসলাম জোয়ার্দার তার সমস্যা হয় মর্মে অভিযোগ করেন। তার প্রেক্ষিতে স’মিল মালিক উচু দেয়াল করে দিলেও সে অভিযোগ করতে থাকে। পরবর্তীতে স’মিলের পরিবেশের ছারপত্র পেতে তিনি অনাপত্তিপত্র দিয়েছেন এবং এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে স’মিল চালু করা হয়েছে। তবে স’মিল শুধু একটি পরিবারের
সমস্যা আর অন্যান্যদের কোন সমস্যা নাই মর্মে তিনি গণস্বাক্ষরিত একটি পত্র
পেয়েছেন বলে জানান।