সুকান্ত বিশ্বাস: “চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি” আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন্স ফিল্ম ফেস্টিভাল বাংলাদেশ’ এর ১৪তম আসরে বাংলাদেশি সিনেমা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে রাজবাড়ী থেকে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “সত্য মিথ্যার গল্প”। ঢাকার কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে উৎসবটি।
করোনা মহামারিতে নাজেহাল পুরো বিশ্ব। এই মহামারি মানব জীবনে স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে। স্থবিরতা কাটিয়ে উঠে সব কিছু চলছে নিউ নর্মাল ভাবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ পরিবেশে নিউ নর্মাল বিষয়টি কেমন সেটিই এক বাবা এবং তার ছেলের গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক।
সারাদেশ থেকে মোট ১৭১টি চলচ্চিত্র থেকে ৫১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছে এবারের আসরে। এই ৫১টি নির্বাচিত চলচ্চিত্রের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে রাজবাড়ীর কৃতি সন্তান জামসেদুর রহমান সজীবের “সত্য মিথ্যার গল্প”।
জামসেদুর রহমান সজীব রাজবাড়ী জেলার চরনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং রাজবাড়ী বিএম কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগে অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত। পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানান তিনি।
“সত্য মিথ্যার গল্প” প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনাতে স্বাভাবিক জীবন-যাপন কঠিন হয়ে পড়লেও জীবন কিন্তু থেমে নেই৷ আর জীবন মানেই অসংখ্য ছোটবড় ঘটনার সমষ্টি৷ সত্য মিথ্যার গল্প তেমনই এক জীবনের গল্প৷ এ সময়ের প্রতিচ্ছবি৷’
স্বল্পদৈর্ঘ্যটিতে অভিনয় করেছেন রাজবাড়ীর স্বনামধন্য অভিনয়শিল্পী গোলাম মোর্তজা সাগর, মোঃ আদনান সানি এবং নেহাল আহমেদ, চিত্রগ্রাহক হিসাবে ছিলেন রিয়াদ শিকদার রাদ, সহযোগী চিত্রগ্রাহক হিসাবে ছিলেন আল আমিন বিজয় এবং সাকিব ইমরান, পোস্টার ডিজাইন করেছেন আব্দুল্লাহ আল মারূফ, সাবটাইটেল লিখেছেন মালিহা মাহমুদ, সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন কলকাতা থেকে তন্ময় সাহা দুর্জয়, ছবিটির সহকারী পরিচালক ছিলেন পিয়াল মাহমুদ, নির্বাহী প্রযোজক হিসাবে ছিলেন আনিসুল ইসলাম সুজন ও সবুজ বিশ্বাস। পরিচালনার সাথে সাথে কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং সম্পাদনার কাজও করেছেন পরিচালক জামসেদুর রহমান সজীব নিজে। ছবিটির প্রযোজক ছিলেন সুকান্ত বিশ্বাস। রাজবাড়ী সার্কেল স্বল্পদৈর্ঘ্যটির মিডিয়া পার্টনার। এছাড়াও সোনার বাংলা নিউজ ২৪.কম ও অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন মিডিয়া পার্টনার হিসাবে রয়েছে।
এর আগে ‘সিনেমা বাংলাদেশ’ আয়োজিত “গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল” এর বান্দরবন আসরে প্রদর্শিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।