তাইফুর রহমান তুষার (কাতার): টানাপোড়নের দীর্ঘ তিন বছর পর গতকাল রাতে প্রতিবেশি দেশ কাতারের সাথে স্থলসীমান্ত খুলে দেয় সৌদি আরব। শিগগিরই যোগাযোগ পুনঃস্থাপন হবে সমুদ্র আর আকাশসীমাতেও। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সোমবার রাতে এ ঘোষণা দেন কুয়েত।
সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ এনে ২০১৭ সালের ৫ জুন থেকে কাতারের সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন আর মিসর। সাড়ে ৩ বছর পর কুয়েতের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক সমাধানের পথে আজ সৌদি-কাতার।
কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আহমেদ নাসের আল-মোহাম্মদ আল-সাবাহ বলেছেন, কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল-আহমেদ আল-সাবাহ’র পরামর্শে কাতারের সাথে স্থল ও সমুদ্র সীমান্ত খুলে দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব, এবং যা এখন রাতেই কার্যকর হচ্ছে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়া রাষ্ট্রগুলোর যতো অভিযোগ, তার কোনোটিই সত্যি নয়। নিজেদের দাবির স্বপক্ষে, দোহার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতায় সহযোগিতা বা পৃষ্ঠপোষকতার কোনো প্রমাণ এতোদিনে তারা দিতে পারেনি। তাই প্রতিবেশি দেশগুলোর কাতার বর্জন কর্মসূচি এমনিই অমূলক ছিল।
আরব লিগে নিযুক্ত সৌদি দূত আহমেদ আল-কাত্তান বলেছেন, সৌদি আরবের স্বার্থেই নাকি ইরানের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল কাতার। সৌদি আরবের কারো সাহায্যের দরকার নেই। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের যেকোনো অপচেষ্টা রুখে দেয়ার সক্ষমতা আল্লাহ’র ইচ্ছায় আমাদের আছে। তিনি চাইলে নিজেদের কর্মকাণ্ডের ফল ইরানকে শিগগিরই ভোগ করতে হবে।
শুরুতে সংকট সমাধানে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বন্ধ করে দেয়া থেকে শুরু করে তুরস্কের মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে সম্পর্কচ্ছিন্ন এবং ইরানের সাথে কূটনীতির পরিসর কমিয়ে আনতে শর্ত বেঁধে দিয়েছিল রিয়াদ। বরাবরই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সব শর্তও নাকচ করেছে দোহা। এ অবস্থায় নতুন করে কিসের ভিত্তিতে এলো এ সমঝোতা, তা এখনও স্পষ্ট করেনি কোনো পক্ষ। তবে সৌদি কাতারের এই অবরোধ অবসান হওয়াতে সৌদি কাতার সহ মধ্যপ্রাচ্যের সকল নাগরিক ও প্রবাসীদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।