ভোর হলেই যেন তার অপেক্ষায় থাকে শালিকের ঝাঁক। করো’নার কারণে আয় রোজগার কম। তারপরও প্রতিদিন সকালে নিজের স্বল্প আয় থেকে কিছুটা বাঁ’চিয়ে ক্ষু’ধা’র্ত পাখিদের খাবার দেন তিনি। বলছি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ এলাকার ভ্যানচালক রিপন হোসেনের কথা।
যখন ভোরের আলো পুর্ব দিগন্তে উদ্ভাসিত হয় তখনই শালিক পাখিদের কিচির মিচির কল কাকুলিতে ভেসে ওঠে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজার। ভোর থেকে একত্রিত হয় পাখির ঝাঁক। সকালে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে জীবিকার উদ্দেশে
আসা রিপন হোসেন খাবার দেয়া শুরু করেন। নিজের অল্প আয় আর মাঝে মাঝে স্থানীয় অন্যদের সহযোগিতায় খাবার
দেন তিনি। খাবার শেষে পাখিদের জলকেলিতে মাতার দৃশ্য যেন মনোমুগ্ধকর। শালিক দলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ আশপাশের মানুষ।
‘আমরা খায় ওদেরও তো খাবার লাগে, তাই ওরা যখন খেয়ে শান্ত হয় তখন আমিও শান্ত হই। প্রতিদিন ভোরে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হলে ওরা ঘিরে ধরে, হয়তো আমার হাতের রুটিই টেনে ধরে, ওদেরও তো খাবার লাগে। এসব দেখে প্রতিদিন
রাস্তায় এসেই কিছু ভাজা, বিস্কিটের গুড়া এসব দিই সামর্থ অনুযায়ী বেশিতো পারি না। ওরা খেয়ে যখন একটু শান্ত হয়, তখন আমিও ফিরি আমার রুটি-রুজির খোঁজে’। এসব কথাই বলছিলেন রিপন।
পাখিদের খাবার দেয়া কারণ জানতে চাইলে রিপন হোসেন বলেন, ভালোলাগা থেকে পাখিদের খাবার দেই। তবে সামর্থ্য না থাকায় বেশি দিতে পারি না।
পরিবেশবিদ মাসুদ আহমেদ সঞ্জু বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির সংরক্ষণ ও তাদের খাবারের ব্যবস্থা ব্যক্তিগত এবং সরকারিভাবে করা দরকার।
ঝিনাইদহের ডিসি সরোজ কুমার নাথ জানান, পাখি সংরক্ষণ ও যারা এ ধরনের কাজ করছেন তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে জেলা প্রশাসন।উল্লেখ্য স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন গাড়াগঞ্জ এলাকায় ৭ থেকে ৮’শ শালিক পাখি খাবারের সন্ধানে আসে