জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কের বেড়িবাঁধের দীর্ঘ ৬ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা

সম্পাদকীয় | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৬০২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০

0Shares

জহুরুল ইসলাম হালিম//
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ৪৮ কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়কের গোয়ালন্দ জামতলা থেকে অন্তারমোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেরিবাঁধের ৬ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক সড়কটি মেরামত করা হয় না বছরের পর বছর। মাঝে মধ্যে সড়কে ইটের খোয়া ফেলে সংস্কার করার চেষ্টা করা হলেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সেখানে আবার খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যায়। বৃষ্টি হলেই সড়কটিতে বড় বড় গর্ত আর বৃষ্টির পানি জমে কাঁদা-জলে একাকার হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। যার ফলে প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনার কবলে পড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা স্কুল কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি শিশু কিশোরসহ চরাঞ্চলের হাজারো মানুষের। এ ছাড়াও সড়কের বেহাল দশার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পন্যবাহী, যাত্রীবাহী ছোট ছোট যানবাহন গুলোরও।
জেলার মহা-সড়কের বিকল্প রাস্তা হিসেবে জনগুরুত্বপূর্ণ এ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে দৌলতদিয়া থেকে রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া,পাবনা সহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত সহজতর হওয়ায় ছোট ছোট পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেশী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা থেকে শুরু করে কাটাখালী, অন্তারমোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেরি বাঁধের ৬ কিলোমটিার রাস্তায় ছোট বড় অসংখ্য খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালি ভর্তি ট্রাক ও ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে কোন না কোন দূর্ঘটনা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এই রাস্তা দিয়ে বালি ভর্তি ট্রাক ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে এত বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে যানবাহন তো দুরের কথা সাধারন মানুষেরও পায়েহেঁটে চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই অতি দ্রুতই রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের যোগ্য করার দাবী জানান তারা।
যানবাহন চালকেরা জানান, সহজে চলাচলের জন্যে এ রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। অথচ এ রাস্তাটির এখন যে অবস্থা তাতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গাচোড়া আর গর্তের কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দূর্ঘটনা। রাস্তা খারাপ হওয়ায় বেশির ভাগ যানবাহনের যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে চুড়ে যায়। এতে করে যানবাহন মেরামতের খরচ বেড়ে যায় দ্বিগুন। অপরদিকে খানাখন্দের কারনে সময় ও তেল খরচও বেশি লাগে যাতে করে ভোগান্তির সীমা থাকেনা তাদের। অতি দ্রুতই রাস্তাটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার দাবী জানান তারাও।
এ প্রসঙ্গে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বেরি বাঁধের এ রাস্তাটি গোয়ালন্দের জামতলা থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার অংশের জামতলা থেকে সদর উপজেলার মৌলভী ঘাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তার প্রসস্তকরন কাজে ৩১ কোটি টাকা প্রাক্কালিত ব্যয় ধরা হয়েছে। রাস্তাটি সম্প্রসারণ করে ১২ ফিটের স্থানে ১৮ ফিটে উন্নিত করার কাজ চলমান রয়েছে। বাকি ৩৬ কিলোমিটার অংশের মৌলভী ঘাট থেকে পাংশার হাবাসপুর পর্যন্ত অংশের বিভাগীয় মেরামত কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্যে নতুন একটি প্রকল্প প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১শত কোটি টাকা। যান চলাচল স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে পুরো সড়কের মান উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণের জন্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। কাজ সম্পন্ন হলে এই সড়কটি দিয়ে দৌলতদিয়া হয়ে রাজবাড়ী-পাংশা যান চলাচলের জন্য উপযোগী হবে। ভোগান্তি কমবে এ পথে চলাচলরত জন সাধারণের।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg