নির্বাচন কমিশন (ইসি) ধাপে ধাপে পৌরসভা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম ধাপে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ কয়েকটি পৌরসভায় ভোট। শেষ হবে মে মাসে। তবে মোট কয়টি ধাপে নির্বাচন হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
সোমবার (২ নভেম্বর) বিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কমিশনের ৭২তম সভা শেষে বৈঠকের এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পৌরসভাসহ যেসব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হবে, সেগুলোর নির্বাচন ডিসেম্বরে শেষে হবে। এই ধাপে ২০ থেকে ২৫টির ভোট নেয়া হতে পারে। আইন অনুযায়ী, নির্বাচিত পৌরসভার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল চলতি মাসেই ঘোষণা করা হবে। এবারও দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে ও নির্দলীয় প্রতীকে কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। আরও জানা গেছে, ইভিএম-এ ভোটগ্রহণের সুবিধার্থে ধাপে ধাপে ভোটগ্রহণের বিষয়টি বেশি আলোচিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৩০ ডিসেম্বর একইদিনে দুই শতাধিক পৌরসভায় ভোট হয়েছিল
কয়টি ধাপে পৌরসভার ভোট হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, কতগুলো ধাপে হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে আমরা ধারণা করছি পাঁচটি ধাপ লাগবে। ইভিএমের বিষয়টি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে করা হবে। জানুয়ারিতে হয়তো আবার নতুন তফসিল করতে হতে পারে বলেও তিনি জানান।
পুরো পৌরসভা কি ইভিএমে ভোট হবে এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেন, সবগুলো না বলে যতদূর সম্ভব বলতে চাচ্ছি। কোনও কারণে দু-চারটা যদি না করতে পারি এগুলো হয়তো ইভিএম হবে না। তবে নীতিগতভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইভিএমে হবে।
এ বিষয়ে কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আমরা চাচ্ছি পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমে করবো। এজন্য আমাদের ইভিএমের ক্যাপাসিটিটা দেখতে হবে। আমরা একসঙ্গে কতগুলোর ভোট করতে পারবো। ডিসেম্বরের পর ফেব্রুয়ারিতে হয়তো আমাদের কিছু নির্বাচন হবে।